বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

দৃষ্টি এখন ফ্লাডলাইটে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দৃষ্টি এখন ফ্লাডলাইটে

কিছুদিন আগে ঢাকায় ওয়ার্ল্ড হকি লিগের রাউন্ড টু শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল তৃতীয় রাউন্ডে ওঠা। তা আর হয়নি, সেমিফাইনালে মিসরের কাছে হেরে সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। পঞ্চম স্থানে থেকে জিমিরা আসর শেষ করেছে। ওয়ার্ল্ড হকি লিগের পর খেলোয়াড়রা অপেক্ষায় আছেন নিজ দেশে এশিয়া কাপ খেলতে। ১৯৮৫ সালে তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ হকির আসর বসে। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। এশিয়া কাপ ঘিরে দেশে হকির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছিল। শহরতো বটেই গ্রাম-গঞ্জে লাঠি ও টেনিস বল দিয়ে হকি খেলার ধুম পড়ে যায়। সেই জোয়ার হারিয়ে যেতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি।

৩২ বছর পর অক্টোবরে আবার ঢাকায় এশিয়া কাপ ফিরে আসছে। এনিয়ে ক্রীড়ামোদীদের অপেক্ষার শেষ নেই। বাংলাদেশ ছাড়া এশিয়া কাপে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জাপান, চীন ও ওমানের অংশগ্রহণের কথা। বিশ্ব হকিতে ভারত ও পাকিস্তানের দাপট ম্লান হয়ে গেলেও আকর্ষণ কিন্তু এখনো কমেনি। তাই ৩২ বছর পর হলেও ঢাকায় এশিয়া কাপে উত্তেজনার কমতি থাকবে না।

এশিয়া কাপ নিয়ে ক্রীড়ামোদীরা ক্ষণ গণনাও শুরু করে দেন। এশিয়া কাপ, বিশ্ব হকির নিঃসন্দেহে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট। ৩২ বছর পর ঢাকাতে হচ্ছে, এতে করে হকিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার হবে। কিন্তু এখনো সংশয় রয়েছে ঢাকায় এশিয়া কাপ হবে কিনা? কেননা কিছুদিন আগে এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ) হকি ফেডারেশনের কাছে চিঠি দিয়ে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ফ্লাডলাইট স্থাপন। চিঠিতে এমনো লেখা আছে ফ্লাডলাইট ছাড়া এশিয়া কাপ আয়োজনের অনুমতি দেবে না। এমন চিঠি পাওয়ার পর হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা চিন্তায় পড়ে যান। কেননা এত দ্রুত ফ্লাডলাইট বসাবে কীভাবে? ফ্লাডলাইট অনেক আগেই লাগানো কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের খামখেয়ালীপনাকে এক্ষেত্রে দায়ী করা যায়। এশিয়ান হকি ফেডারেশনের চিঠি পাওয়ার পরই কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেন।

ফেডারেশন সভাপতি নিজে যোগাযোগ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে। এশিয়া কাপ হকির তারিখ নির্ধারণ আছে ১৪ থেকে ২২ অক্টোবর। অর্থাৎ হাতে এখনো ৬ মাস সময় আছে। হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক জানালেন, ‘সত্যি বলতে কি চিঠি পাওয়ার পর আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। এখন কিছুটা হলেও চিন্তা মুক্ত। কারণ হাতে যে সময় আছে এরই মধ্যে ফ্লাডলাইট স্থাপন করা সম্ভব।’ ফাইল এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তত্পর থাকলে অনেক আগেই অনুমতির জন্য ফাইল চলে যেত তাদের কাছে। যাক এখন এক সপ্তাহের মধ্যে তা পাস হয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আসবে হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের এটাই প্রত্যাশা। এরপর কাজ শুরু হলে ফ্লাডলাইট স্থাপন করতে বেশি সময় লাগবে না। অর্থাৎ এশিয়া কাপ আয়োজন ঘিরে যে শঙ্কাটা দেখা দিয়েছিল তা কেটে গেছে বলা যায়। সত্যি বলতে কি এখন সব কিছু নির্ভর করছে ফাইল পাস ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাজের ওপর। এএইচএফ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ফ্লাডলাইট ছাড়া তারা কোনোভাবেই এশিয়া কাপ আয়োজনের অনুমতি দেবে না। দেখা যাক সেই চ্যালেঞ্জে জিততে পারে কিনা হকি ফেডারেশন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর