বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রশ্নবিদ্ধ সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সার্কভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন গঠিত। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে এই সংস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। ২০১৫ সালে ভারতের কেরালায় সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসেছিল। চলতি বছরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশে হওয়ার কথা। এর আগেও ২০০৩ ও ২০০৯ সালে ঢাকায় এই আসর বসেছিল। তৃতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশে হবে এটা নিশ্চিত। কিন্তু শিডিউল অনুযায়ী ২০১৭ সালে হচ্ছে না তা নিশ্চিতই বলা যায়। দুই বছর পরপর সার্কের বিশ্বকাপখ্যাত এই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা। আগের ৯ আসরে নিয়মিত হয়নি। তবে ৬ষ্ঠ আসর থেকে নিয়মিতই ছিল এ টুর্নামেন্ট। দশম আসরে এসেই ছন্দপতন।

প্রাথমিক সময় ছিল চলতি বছর জুনে ঢাকায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের। কিন্তু মার্কেটিং এজেন্টের আপত্তির কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। নতুন তারিখ নির্ধারণ হয় ২৫ ডিসেম্বর। তাও হচ্ছে না। কেননা সাফ সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক হেলাল জানান, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জন্য আসর পেছাতে হচ্ছে। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা মৌখিকভাবে টুর্নামেন্ট পেছাতে বলেছেন। তাদের চিঠি পেলেই সম্ভবত দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যেতে পারে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। কথা হচ্ছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জন্য টুর্নামেন্ট পেছাতে হবে কেন? অন্য দেশের কথা বাদই দিলাম অনেক সময় দেখা গেছে লিগ বন্ধ রেখেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে অংশ নিতে। ভারত তাহলে পারবে না কেন? তাছাড়া দুই সপ্তাহ যদি টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যায় তাহলে সাফ গড়াতে ২০১৮ জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ লেগে যাবে। তাছাড়া ওই সময়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া আসরও শেষ হবে না। তখন কি জটিলতা তৈরি হবে না। ১৯৯৯ সালে গোয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের কথা কি কেউ ভুলে গেছে। সেবার নেপাল ফুটবলে তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে টুর্নামেন্ট পেছানোর লিখিত অনুরোধ জানিয়েছিল। আয়োজক ভারত কি তা রক্ষা করেছে। অন্যদের বেলায় আপত্তি আর ভারত বললেই শুনতে হবে তাহলে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন গড়ে লাভ হলো কি? সাফের প্রেসিডেন্ট আর সেক্রেটারি দুটো গুরুত্বপূর্ণ পদেই বাংলাদেশের সালাউদ্দিন ও হেলাল বসে আছেন। কথা উঠেছে এখানে কি তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ  নেই।

সর্বশেষ খবর