শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

চ্যালেঞ্জের মুখে স্থানীয় ফুটবলাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চ্যালেঞ্জের মুখে স্থানীয় ফুটবলাররা

কমানো হয়েছে বিদেশি সংখ্যা। ১ এপ্রিল থেকে ঘরোয়া ফুটবলের দলবদল শুরু হবে। এখন পর্যন্ত শিডিউলে কোনো পরিবর্তন না হলেও যদি পিছিয়ে যায় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কেননা সঠিক তারিখে দলবদল হয়েছে এমন নজির খুব কমই পাওয়া যাবে। যাক ১ এপ্রিল দলবদল হোক বা না হোক পেশাদার লিগে অংশ নেওয়া অধিকাংশ দলই তাদের ঘর গুছিয়ে নিয়েছে। শেখ রাসেল, শেখ জামাল, চট্টগ্রাম আবাহনী, ঢাকা আবাহনী এমনকি ঢাকা মোহামেডানও নিশ্চিত করে ফেলেছে নতুন মৌসুমে তাদের পক্ষে কারা খেলবেন।

স্থানীয় ফুটবলারদের না হয় নিশ্চিত করা গেছে। কিন্তু বিদেশিদের এবার ঠিক করতে পেরেছে কি? অস্বীকার করা যাবে না লোকাল খেলোয়াড়দের যতই আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক দেওয়া হোক না কেন, অধিকাংশ দলই বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল। ঢাকা আবাহনী, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলের এখন পর্যন্ত পেশাদার লিগে ট্রফি জেতার কৃতিত্ব রয়েছে। এর পেছনে বড় ভূমিকা বিদেশিদেরই। যদিও ৮০ বা ৯০ দশকের মতো মাঠে মানসম্পন্ন বিদেশি ফুটবলারের দেখা মিলছে না। কিন্তু যারা আসছে তারাইতো মাঠ কাঁপাছেন।

এবার বিদেশিদের ওপর কতটুকু ভরসা রাখতে পারবে দলগুলো। কারণ বাফুফের নতুন নিয়ম অনুযায়ী এবার তিনজন বিদেশি ফুটবলারের নাম রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। কিন্তু খেলতে পারবেন দুই জন। আগে যেখানে চারজন খেলতে পারত এবার দুই জন। বাফুফের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলাররা। বর্তমান ফুটবলারও খুশি। কারণ বিদেশি কমে যাওয়ায় অনেকে মাঠে নামার সুযোগ পাবেন। কিন্তু শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলো এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়বে। কারণ বাফুফে যে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে ক্লাবগুলোর জানা ছিল না। কোনো কোনো ক্লাব চারজন বিদেশি রেখে দল সাজায়। কেউ কেউ অনেককে নিশ্চিত করে ফেলেছিল মধ্যম সারির দলের চিন্তা ছিল তরুণ লোকালদের পাশাপাশি চারজন বিদেশি খেললেই দল শক্তিশালী হয়ে যাবে। এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখছে।

কিছু ক্লাব আলোচনা করেছে অন্তত এই মৌসুমের জন্য বাফুফে যেন চারজন বিদেশির অনুমতি দেয় তা অনুরোধ রাখার। এখন পেশাদার লিগের সব দলই যদি অনুরোধ করে বাফুফে তা কি ফেলতে পারবে। বাফুফে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী বলেন, হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ক্লাবগুলো আগে থেকেই জানত এবার বিদেশির সংখ্যা কমানো হবে। তাছাড়া এটা করা হয়েছে দেশের ফুটবলের স্বার্থের কথা ভেবে। তারপরও আমরা ক্লাবগুলোর সমস্যা দেখব। বিদেশি কমানো হয়েছে এবার মাঠে চ্যালেঞ্জটা থাকবে দেশি ফুটবলারদের। পারবে কি তারা জ্বলে উঠতে।

সর্বশেষ খবর