শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

মাশরাফি-সাকিবের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই আজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাশরাফি-সাকিবের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই আজ

মাশরাফি বিন মর্তুজা - সাকিব আল হাসান

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা কারা? উত্তরে ক্রিকেটপ্রেমীরা যে মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের নামই বলবেন সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। দাপটের কারণে সাকিবকে বলা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ‘বিজ্ঞাপন’। সাফল্যের পারদ দিন দিন উপরে উঠছে বলে টাইগারদের ‘নিউক্লিয়াস’ বলা হয় মাশরাফিকে। সবচেয়ে বড় ‘বিজ্ঞাপন’ সাকিব ও ‘নিউক্লিয়াস’ মাশরাফির পারফরম্যান্সের ওপর এখনো নির্ভর করে বাংলাদেশের সাফল্য-ব্যর্থতা। যদিও দলে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমানদের মতো ম্যাচ উইনার রয়েছেন। তার পরও দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের মেধা ও পারফরম্যান্সই টাইগারদের ভরসা। এই মুহূর্তে জাতীয় দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার মাশরাফি। খেলছেন ১৬ বছর ধরে। ১১ বছর ধরে খেলছেন সাকিব। দুই ক্রিকেটারই অলরাউন্ডার। তবে এই ক্যাটাগরিতে এগিয়ে সাকিব। আর বোলিংয়ে দুজনেই সমানে সমান। দুই ক্রিকেটার মেতে উঠেছেন উইকেট শিকারের অদ্ভুত এক লড়াইয়ে। ওয়ানডেতে দুজনেরই উইকেটসংখ্যা ২২১টি। আজ সিরিজ নিশ্চিতের ওয়ানডে একজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে মেতে উঠবেন।

বিশ্ব ক্রিকেটে একমাত্র পেসার যিনি সাতবার অস্ত্রোপচারের পরও দাপটের সঙ্গে খেলছেন। শুধু খেলছেনই না, দেশকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। মাশরাফির অভিষেক ২০০১ সালের ২৩ নভেম্বর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচের স্পেল ছিল ৮.২-৩-২৬-২। এরপর যখনই ফিট থেকেছেন, তখনই খেলেছেন টাইগারদের হয়ে। এখন খেলছেন অধিনায়ক হয়ে। তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ এখন সোনালি সময় পার করছে ওয়ানডে ক্রিকেটে। তার অধিনায়কত্বে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেন টাইগাররা। এ ছাড়া ঘরের মাটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয় করে। আজ জিতলেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। তাই টাইগারদের সাফল্যের কারিগর বলা হয় মাশরাফিকে। ১৬ বছর আগে অভিষেকের পর আজকের ওয়ানডের আগে পর্যন্ত ১৭০টি ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি। ৮৪৮৯টি বল করে ৬৬৭৮ রানের খরচে উইকেট নিয়েছেন ২২১টি। ওভারপ্রতি স্ট্রাইক রেট ৪.৭১। সেরা বোলিং পারফরম্যান্স কেনিয়ার বিপক্ষে ২৬ রানে ৬ উইকেট। গত ১০টি ওয়ানডেতে ৪০১ রানের খরচে উইকেট নিয়েছেন ১৭টি। সেরা বোলিং স্পেল মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৯ রানে ৪ উইকেট। সাকিব বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে সমান পারফরম্যান্স করে দলের মূল ভরসা। ২০০৬ সালের আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক। অভিষেক ম্যাচের স্পেল ১০-০-৩৯-১। বাঁ হাতি স্পিনার এখন পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছেন ১৬৭টি। চলতি সিরিজের প্রথম ওয়ানডে পর্যন্ত তার উইকেট ২২১টি। সেরা বোলিং ৪৭ রানে ৫ উইকেট। ওভারপ্রতি স্ট্রাইক রেট ৪.৩৫। সর্বশেষ ১০ ওয়ানডেতে ৪৬৩ রানের খরচে উইকেট নিয়েছেন ১৫টি। সেরা বোলিং আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৭ রানে ৪ উইকেট।

দুই তারকা দলকে টেনে চলেছেন পারফরম্যান্স করে। দুজনের মধ্যে উইকেট শিকারের অদ্ভুত দ্বৈরথটাও আবার দলকে উজ্জীবিত করছে প্রতিটি ম্যাচেই। দুজনই আবার ওয়ানডে ও টি-২০ দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক। দুজনের রসায়নই দলকে সাফল্য এনে দিচ্ছে একের পর এক।

সর্বশেষ খবর