শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

নতুন মৌসুমে নতুন চ্যালেঞ্জ শেখ রাসেলের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নতুন মৌসুমে নতুন চ্যালেঞ্জ শেখ রাসেলের

অনুশীলনের পর বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন শেখ রাসেলের ফুটবলাররা। কোচ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্রুপ ছবিও তোলেন তারা

নতুন মৌসুমে নতুন স্বপ্ন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের। ১ এপ্রিল থেকে ফুটবলের দলবদল শুরু। খেলোয়াড়দের ঘর বদলানোর পালা শেষের পরই মাঠে গড়াবে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম। লিগ কমিটি খেলা শুরুর তারিখ এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি। কিন্তু যাদের চোখ ট্রফির দিকে তারা কি বসে থাকতে পারে। দেশের জনপ্রিয় ক্লাব শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র গতকাল থেকেই আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু করেছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মনোমুগ্ধকর পরিবেশে নতুন মৌসুমে মাঠে নামার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল দেশের জনপ্রিয় ক্লাবটির। ফুটবলে শেখ রাসেলের যাত্রা নব্বই দশকে। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ক্লাবটির চেহারা বদলে যায়। পেশাদার লিগ ২০০৭-০৮ চালু হলেও ক্লাবগুলোর পেশাদারিত্ব নিয়ে অভিযোগের শেষ ছিল না। কিন্তু সায়েম সোবহানই পরিবর্তন এনেছেন। পেশাদারিত্ব বলতে যা বোঝায় তার পুরোটাই দেখা মিলছে এখন শেখ রাসেলে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও চেয়ারম্যান ক্লাবের খোঁজখবর রাখছেন। দেশের অভিজ্ঞ ফুটবলার বিপ্লব ভট্টাচার্য বললেন, ‘অনেক ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। তবে শেখ রাসেলের মতো পরিবেশ কোথাও পাইনি। যা চাচ্ছি তা-ই পাচ্ছি, কোনো কিছুর অভাব অনুভব করছি না। বিশেষ করে ক্লাবের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান স্যার আমাদের যেভাবে উৎসাহ জোগান তা সত্যিই অতুলনীয়।’ আলাদা ক্লাব ভবন, প্রশিক্ষণ মাঠ। কোনো কিছুরই ঘাটতি নেই শেখ রাসেলের। তবু দুর্ভাগ্য বলতে হয় ক্লাবটির। দুই মৌসুমে তারকানির্ভর দল গড়ে ফুটবলে বড় কোনো ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি। তবে এবার মাগুরায় বঙ্গবন্ধু কাপ ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেখ রাসেল। আশা করা যায় এই ট্রফি নতুন মৌসুমে প্রেরণা জোগাবে খেলোয়াড়দের ।

এবার ফুটবল মৌসুমটা হবে বেশ চ্যালেঞ্জের। কেননা শেখ রাসেল ছাড়া আরও কয়েকটি দল শক্তিশালী হয়েই মাঠে নামবে। বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি হয়েছেন। দুই ভাই দেশের বড় দুই ক্লাবের দায়িত্বে। তাই মাঠে লড়াইটা হবে উপভোগ্য। চট্টগ্রাম আবাহনী, সাইফ পাওয়ার টেকও শক্তিশালী দল গড়েছে। ঐতিহ্যবাহী দুই দল ঢাকা আবাহনী আর ঢাকা মোহামেডানও কম যাবে না। সুতরাং যে কোনো দলের জন্য ট্রফি জেতাটা হবে চ্যালেঞ্জের। সব কিছু মাথায় রেখেই শেখ রাসেল ঘর গুছিয়েছে। অভিজ্ঞতার পাশাপাশি লোকাল কালেকশনে এবার তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মাঠে মানসম্পন্ন বিদেশি নামানোর। প্রশিক্ষকের দায়িত্বে থাকছেন অভিজ্ঞ শফিকুল ইসলাম মানিকই।

গত বছর শেখ রাসেল পেশাদার লিগে শেখ রাসেল রূপে খেলতে পারেনি। অবশ্য বেশ কিছু ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করেছে বিতর্কিত রেফারিংয়ের কারণে। কোচ মানিক বললেন, ‘অতীতকে আমি আর মনে করতে চাই না। শেখ রাসেলকে নিয়ে সামনের দিকে এগোতে চাই। চেয়ারম্যান স্যার আমাদের সবই দিয়েছেন। তারপরও আমরা ট্রফি উপহার দিতে পারিনি। তিনি যে ক্লাবের কতটা নিবেদিতপ্রাণ তার প্রতিটি পদক্ষেপে প্রমাণ পাচ্ছি। সত্যি বলতে কী, শেখ রাসেলের মতো পরিবেশ আমি অন্য কোথাও পাইনি।’  নতুন মৌসুমে শেখ রাসেল সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটাতে পারবে কী?  মানিক বলেন, ‘মাত্র অনুশীলন শুরু করলাম। অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়া হয়েছে। আশা রাখি ছেলেরা মাঠে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলবে। নতুন মৌসুমে নতুন স্বপ্ন আমাদের। সেই চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হব কিনা মাঠেই তা প্রমাণ দিতে চাই।’ ডাইরেক্টর ইনচার্জ ইসমত জামিল আকন্দ লাভলু বলেন, ‘আমরা এবার অভিজ্ঞ ও তরুণদের মিশ্রণে দল গড়েছি। আশা রাখি সাফল্য এবার দেখা দেবেই।’  পরিচালক (ক্রীড়া) সালেহ জামান সেলিম বলেন, ‘নতুন মৌসুমে নতুন চ্যালেঞ্জে ইনশা আল্লাহ্ আমরা বিজয়ী হবই।’ পরিচালক মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘অতীত ভুলে সামনের দিকে এগোতে চাই। আশা রাখি এবার মৌসুমটা হবে শেখ রাসেলেরই।’

সর্বশেষ খবর