বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

অনিশ্চয়তার মুখে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ

হচ্ছেটা কী হকিতে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অনিশ্চয়তার মুখে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ

ফুটবলে অবস্থা সংকটাপন্ন। নতুন কোনো প্রতিভার সন্ধানই মিলছে না। জাতীয় দলে তাই মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ও দেখা যাচ্ছে না। হুমকির মধ্যে পড়ে গেছে দেশের ফুটবল। হকিতে এতটা নাজুক অবস্থা নয়। ফেডারেশনের তত্পরতায় এই খেলার চাকা সচল রয়েছে। কিন্তু জাতীয় দলের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘরের মাঠে ওয়ার্ল্ড হকি লিগের রাউন্ড-টু অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশ সেমিফাইনালে যাবে। কিন্তু খেলোয়াড়দের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে তা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে হকি ফেডারেশনের কোনো গাফলতি চোখে পড়েনি। কারণ তারা সঠিক সময়ে প্রস্তুতির ব্যবস্থা করেছিলেন।

ওয়ার্ল্ড হকি লিগে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমিকে দেখা গেছে নিষ্ক্রীয়। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে। জাতীয় দলের অধিনায়ক, বড় দায়িত্ব তার ওপর অথচ তিনি কিনা টুর্নামেন্টে পোস্টার লাগানোর দায়িত্ব পান। এর আগে এ ধরনের ঘটনা কখনো কি ঘটেছিল। সিনিয়র খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খাজা রহমত উল্লাহ। একজন সংগঠক তার ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করতেই পারেন। কিন্তু জিমি তাকে ঘিরে যে মন্তব্য করেন তাতে অনেকেই হতবাক। এর আগেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন জিমি। ২০১৫ সালে তিনি মুচলেকা দেন ভবিষ্যতে শৃঙ্খলা মেনে চলবেন। এতেই পুনরায় মাঠে ফিরে আসেন। কিন্তু তা মেনে না চলায় আবারও কারণ দর্শানো নোটিস পেয়েছেন জিমি। প্রশ্ন উঠেছে যিনি জিমিকে পোস্টার লাগানোর দায়িত্ব দেন তিনি কেন শোকজ পাবেন না? অক্টোবরে ঢাকায় এশিয়া কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। শক্তিশালী দল অংশ নেওয়ায় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নের আশা করা যায় না। ফেডারেশনের লক্ষ্য ভালো পজিশনে থাকা। তাই চিন্তা করা হচ্ছে পারফরম্যান্স পড়ে যাওয়া কজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে ক্যাম্প শুরু করার। পারফরম্যান্স না থাকলে খেলোয়াড়রা দল থেকে বাদ পড়বেন এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু ক্যাম্পে যে ডাকা হবে সেই মানের খেলোয়াড় কি আছে? চলতি মাসের ২৭ তারিখ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের।  ফেডারেশনের গভর্নিং বডির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালে শেষবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় এই আসর। কমপক্ষে ৪০টি জেলা ও সার্ভিসেস দল জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়। এপ্রিলে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ হলে কিছু খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স দেখে ক্যাম্পে ডাকা যেত। অথচ স্বয়ং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক সংশয় প্রকাশ করেছেন এই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে। জানা গেছে, ২০/২৫ জন খেলোয়াড় বিভিন্ন ডিভিশনে লিগ খেলতে জার্মানি যাচ্ছেন। ভালো কথা, ওরা খেলতে যাবে। কিন্তু ৬শ জন খেলোয়াড় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বঞ্চিত হবে কেন। এর পেছনে কি কারো ইন্ধন রয়েছে? হকিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য কেউ কি উঠে পড়ে লেগেছেন।

সর্বশেষ খবর