রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

মাবিয়ার চোখ এখন অলিম্পিকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাবিয়ার চোখ এখন অলিম্পিকে

সাকিব, তামিম, মুশফিকদের মতো তারকা নন। তবু এক সোনা জিতেই আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ভারোত্তলনে সোনা জেতেন মহিলা এই ক্রীড়াবিদ। সোনা জিতেই দেশ পরিচিত হয়ে যান। সোনার পদক ও জাতীয় সঙ্গীত তখন বাঁজছিল তখন আবেগে আর চোখের জন্ম ধরে রাখতে পারেননি মাবিয়া। সেই অশ্রু এখনো সবার চোখে ভাসে।

দেশের সুনাম এনে দেওয়ার পর মাবিয়াকে আর থেমে থাকতে হয়নি। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। কাতারেও আন্তর্জাতিক ভারোত্তলন প্রতিযোগিতায় দেশকে সোনা উপহার দেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও নতুন রেকর্ড গড়ে সোনা জেতেন। সোনা জয় এখন যেন তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কম বাঁধা আসেনি তবু থামানো যাচ্ছে না এই নারী ক্রীড়াবিদকে।

এসএ গেমসে সোনা জিতেও তৃপ্ত নন মাবিয়া। দেশকে এনে দিতে চান আরও বড় সাফল্য। তাই সময় নষ্ট না করে কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। সামনেই আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত ইসলামী সলিভারিটি গেমস। মাবিয়ার প্রত্যাশা এখানেও দেশকে বড় কিছু উপহার দেওয়া। সামনের বছর ঢাকাতে এসএ গেমসের পর্দা ওঠার কথা। আগেরবার দেশের বাইরে সোনা জিতেছেন। এবার নিজ দেশে আরও চমক দেখাতে চান।

একই বছরে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ান গেমস। মাবিয়া বললেন, ‘এই গেমসে পদক জেতাটা চাট্টিখানি কথা নয়। তবে গেমসে নামার সুযোগ পেলে অবশ্যই দেশের জন্য মরিয়া হয়ে লড়ব। একজন ক্রীড়াবিদের স্বপ্ন থাকে স্বপ্নের অলিম্পিক গেমসে অংশ নেওয়া। এসএ গেমসে সোনা পেলেও মাবিয়ার ২০১৬ সালে অলিম্পিক গেমসে অংশ নেওয়া সম্ভব হয়নি। শুধু মাবিয়া নন সাঁতারে দুই সোনা জেতা মাহফজুজাও ছিলেন বঞ্চিত। এনিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল কিন্তু কেন তারা অলিম্পিকে যেতে পারেননি সেই রহস্যের উন্মোচন হয়নি।

যাক অতীত নিয়ে ভাবছেন না মাবিয়া। তার চোখ ২০২০ সালের দিকে। টোকিওতে অনুষ্ঠিত হবে স্বপ্নের অলিম্পিক গেমস। সেই অলিম্পিকে নামার স্বপ্ন দেখছেন মাবিয়া। বললেন, অলিম্পিকে পদক জেতাটা সত্যিই স্বপ্নের। তবে যোগ্য কোচের মাধ্যমে অনুশীলন ও সুযোগ সুবিধা পেলে ভাল করার আশা থাকে।’ কঠোর অনুশীলন করে ভাবেন মাবিয়া। তার কথা ‘এমন কিছু করে দেখাতে চাই দেশ যেন মাবিয়ার নামটা ভুলে না যায়।

সর্বশেষ খবর