বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

জিমিকে শাস্তির সুপারিশ

জিমির ব্যাপারে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেছে চার সদস্যের এই কমিটি। রিপোর্টে কী আছে সেই ব্যাপারে কেউ মুখ খোলেননি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জিমিকে শাস্তির সুপারিশ

জাতীয় দলের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমির ব্যাপারে রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তার ব্যাপারে শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগের প্রেক্ষিতে হকি ফেডারেশন জিমিকে কারণ দর্শানো নোটিসও পাঠায়। ঠিক সময়ে শোকজের জবাবও দেন তিনি। শুধু তাই নয়, ৮ এপ্রিল জাতীয় দলের সমন্বয়ক মাহবুব এহসান রানা, মামুনুর রশিদ, কাজী আবু জাফর তপন ও রফিকুল ইসলাম কামালের মুখোমুখি হলে জিমি তার বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিটি অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু এই কথায় তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। কারণ জিমি যে শৃঙ্খলা ভেঙেছেন তার প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। ঢাকায় ওয়ার্ল্ড হকি লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের আসর চলার সময় জিমি ফেডারেশন ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তার এ বক্তব্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হয়। যদিও জিমি কারও নাম ধরে মন্তব্য করেননি। তবে বোঝাই যাচ্ছিল তার এ বক্তব্য ফেডারেশন সহ-সভাপতি জাতীয় দলের সাবেক নন্দিত খেলোয়াড় খাজা রহমত উল্লাহকে ঘিরে। কারণ ওয়ার্ল্ড হকি লিগে বাংলাদেশের হতাশাজনক অবস্থা দেখে রহমত উল্লাহ কজন সিনিয়র খেলোয়াড়দের  পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। দল খারাপ করায় অতীতেও ফেডারেশনের কর্মকর্তারা কারও কারও পারফরম্যান্সে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এখানে ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু কোনো সময়ে কোনো খেলোয়াড়কে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। কিন্তু জিমির বক্তব্য ক্রীড়াঙ্গনে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। তাছাড়া টুর্নামেন্টে তিনি ছিলেন দলের অধিনায়ক। মাঠের  বাইরেও তার দায়িত্ব অনেক। শুধু তাই নয়, টুর্নামেন্ট চলাকালে প্রচারের জন্য তিনি পোস্টার লাগানোর দায়িত্ব পান। যা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের বিরল ঘটনা বলা যায়। কেননা অধিনায়ক ব্যস্ত থাকবেন খেলা নিয়ে, এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় তিনি প্রচার কাজে ব্যস্ত থাকেন কীভাবে? যদিও জিমি বলেছেন কোচের কাছে অনুমতি নিয়ে কাজটি করেন। জিমির এই সত্যতার প্রমাণও পাওয়া গেছে। তবে কোচ অনুমতি দেওয়ার কে? তিনি কি ফেডারেশনের কারও সঙ্গে আলাপ করেছেন জিমিকে এই দায়িত্ব দেওয়া যায় কিনা? তাছাড়া প্রচারের জন্য তো ফেডারেশনের মিডিয়া কমিটি আছে। খেলোয়াড়রা প্রচার কাজে ব্যস্তছিলেন এই ঘটনা কি অতীতে ঘটেছিল?

দীর্ঘ আলোচনা করে জিমির ব্যাপারে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেছে চার সদস্যের এই কমিটি। রিপোর্টে কি আছে সেই ব্যাপারে কেউ মুখ খোলেননি। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে শৃঙ্খলা ভাঙার প্রমাণ পাওয়ায় জিমিকে তিন বছর নিষিদ্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। তাছাড়া ফেডারেশনের নিয়ম ভেঙে জাতীয় দলের জার্মান কোচ অলিভার কার্টেজ কেন অধিনায়কে প্রচার কাজে অনুমতি দিলেন তা শৃঙ্খলা ভাঙার অপরাধই মনে করছে কমিটি। তাই অলিভারকে শোকচ পাঠানোর সুপারিশও করা হয়েছে এই রিপোর্টে। লিখিত সুপারিশ আজ জমা দেওয়া হতে পারে ফেডারেশনে। এরপর ওয়ার্কিং কমিটিতে এই সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হবে। জিমির শাস্তি হবে কি হবে না বা কোচকে শোকজ নোটিস পাঠাবে কিনা তা চূড়ান্ত করবে ফেডাশেনের নির্বাহী কমিটি। এর আগে ২০১৫ সালেও নিষিদ্ধ হয়েছিলেন জিমি। ভবিষ্যতে শৃঙ্খলা মেনে চলবেন এই অঙ্গীকারনামা দেওয়ার পরই তার শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর