আসন্ন ফুটবল মৌসুমের দলবদল চলছে। এরপর ফেডারেশন কাপের মাধ্যমে নতুন মৌসুমের পর্দা ওঠার কথা। প্রশ্ন উঠেছে ক্লাবগুলো মাঠে নামবে কীনা? কেননা বাফুফে এখনো গত মৌসুমের অংশগ্রহণকারী অর্থ শোধ করতে পারেনি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লিগ শেষ হওয়ার আগেই অর্থ শোধ করার কথা। পেশাদার লিগের ১২টি দলকে ৪০ লাখ টাকা দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল। যদিও সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন অংশগ্রহণকারী অর্থ ৪০ না ৩৫ লাখ টাকা ছিল তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। যাক চুক্তিতে যা আছে তা পুরোটাই শোধ করা হবে। এ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। গতবার লিগে অংশ নেয় ঢাকা আবাহনী, চট্টগ্রাম আবাহনী, শেখ জামাল ধানমন্ডি, মুক্তিযোদ্ধা কেসি, রহমতগঞ্জ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, আরামবাগ, টিম বিজেএমসি, ঢাকা মোহামেডান, উত্তর বারিধারা ও ফেনী সকার। মৌসুম শেষ হয়ে নতুন মৌসুম দ্বারপ্রান্তে। অথচ এখন পর্যন্ত ১২টি ক্লাবকে ২৬ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি ক্লাব এখনো ১৪ লাখ করে পাবে। এখানে অবশ্য উত্তর বারিধারা ও ফেনী সকারকে নিয়ে অন্য হিসাব আছে। গতবার তারা রেলিগেশনের প্লে-অফ ম্যাচে অংশ না নেওয়ায় তাদের পেশাদার লিগ থেকে নামিয়ে দেওয়া ছাড়াও ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তারা যদি এই জরিমানা শোধ না করে তাহলে অংশগ্রহণকারী মানি থেকে কেটে নেওয়া হবে। তবে ক্লাবগুলো আসলে এখন পর্যন্ত কত টাকা পেয়েছে তাও পরিষ্কার নয়। কোনো ক্লাব ২৬ লাখ আবার কেউ কেউ বলছে তারা ২৩ লাখ করে টাকা পেয়েছে। যাক এনিয়ে অবশ্য সমস্যা হওয়ার কথা নয়। টাকা শোধের পরিমাণ তো কাগজপত্রে প্রমাণ থাকবে। কথা হচ্ছে বাকি টাকা পাবে কবে। সোহাগ বলেছেন, একটু দেরি হয়ে গেছে তা অস্বীকার করা যাবে না। তবে গ্যারান্টি দিয়ে বলছি স্পন্সরের টাকা হাতে আসার পরই পুরো অর্থ শোধ করা হবে। কতদিনের মধ্যে হবে তার কোনো নির্দিষ্ট তারিখ দিতে পারেননি বাফুফের সাধারণ সম্পাদক। বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা দেওয়া হবে। এ নিয়ে আবার সমস্যার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ ক্লাবগুলো লিগ কমিটিকে জানিয়ে দিয়েছে তারা দলবদল সম্পন্ন করবে ঠিকই। কিন্তু গতবারের অর্থ শোধ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে নামবে না। ক্লাবগুলো প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা পাবে বাফুফের কাছে। গতবছর শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়নমানির ৫০ হাজার ডলার এখনো নেপালকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে বাফুফে বেশ চাপের মধ্যে আছে তার উপর আবার ক্লাবগুলোর এত টাকা। ফান্ড সমস্যায় জর্জরিত ফেডারেশন এই সমস্যার সমাধান কীভাবে দেবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।