মনজুর কাদের। বাংলাদেশের ফুটবলে পরীক্ষিত সংগঠক। কখনো ফেডারেশনের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও দেশের ফুটবলে তার অবদান অস্বীকার করা যাবে না। যে দলের দায়িত্ব নিয়েছেন সাফল্য এনে দিয়েছেন। সালাউদ্দিনের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা কারও অজানা নয়। ২০০৮ সালে সালাউদ্দিনের জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি। সেই বন্ধুত্বের ফাটল ধরে। এ ব্যাপারে বলেন, বন্ধুত্বের বিষয়টি পুরোপুরি আলাদা। ভেবেছিলাম সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে দেশের ফুটবলে প্রাণ সঞ্চার হবে। অথচ ফুটবলে চরম দুর্দশা নেমে এসেছে তারই নেতৃত্বে। ফুটবলকে আমি ভালোবাসি। আমার কাছে সালাউদ্দিনের কর্মকাণ্ড পছন্দ হয়নি বলে দূরে সরে এসেছি। দেখেন ফুটবল উন্নয়নে তাকে সহযোগিতা কম করিনি। জেলা ফুটবল চালু করতে নিজের পকেট থেকে লাখ লাখ টাকা দিয়েছি। স্পন্সরও এনে দিয়েছি। দেখলাম সবই বৃথা যাচ্ছে। ২০০৮ সাল থেকে ফুটবল অন্ধকারে। এখনতো আমরা ভুটানের কাছে হারছি। লজ্জা নেই বলে ফেডারেশনের কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেননি। গত নির্বাচনেতো ফুটবল উন্নয়নে আকাশ ছোঁয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই এক বছর কি কিছু করে দেখাতে পেরেছেন? এদের দিয়ে ফুটবলে উন্নয়ন আশা করা যায় না। কাজ নয়, কথাতেই শুধু চ্যাম্পিয়ন সালাউদ্দিন। ফান্ড নেই বলে হাহাকার করে। কিন্তু ফিফা ও এএফসির অনুদান তাহলে যায় কোথায়?