স্মৃতির খাতায় নাম লিখে ফেললেন পাকিস্তানের দুই লিজেন্ডারি ক্রিকেটার ইউনিস খান ও মিসবাহ উল হক। ডোমিনিকা টেস্ট জিতে ব্যাট, প্যাড, গ্লাভস তুলে রাখলেন বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বর্ষীয়ান দুই ক্রিকেটার ইউনিস ও মিসবাহ। ডোমিনিকার রোসেউতে ১০১ রানের নাটকীয় জয়ের পর পাকিস্তানের দুই মহীরুহ ক্রিকেটারকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন ক্রিকেট বিশ্বের সাবেকরা। দুই ক্রিকেটারকে স্মরণীয় জয় উপহার দিয়ে বিদায় জানাল পাকিস্তান।
১৯৫২ সালে টেস্ট খেলা শুরু করে পাকিস্তান। এরপর ইমরান খান, জাভেদ মিয়াঁদাদ, ওয়াকার ইউনুস, ওয়াসিম আকরামদের মতো লিজেন্ড ক্রিকেটারদের নেতৃত্বে পাকিস্তান বহুবার সফর করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ও পেয়েছে। কিন্তু সিরিজ জিততে পারেনি কখনো।
এবারই প্রথম সিরিজ জিতল। তাও বর্ষীয়ান অধিনায়ক মিসবাহ উল হকের ক্ষুরধার বুদ্ধিমত্তায়। ৪২ বছর ৩৫২ দিন বয়সী মিসবাহর নেতৃত্বে ইতহাস লিখল পাকিস্তান। কিংস্টোনে জেতার পর ব্রিজটাউনে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর ডোমিনিকা টেস্টের প্রথম তিন দিনের যে চিত্র ছিল, তাতে নিশ্চিত করেই ড্র ধরা হচ্ছিল টেস্টের ভবিষ্যৎ। কিন্তু ক্রিকেট যে নাটকীয়তায় ভরা থাকে সব সময়, তার সর্বশেষ প্রমাণ ডোমিনিকা টেস্ট। দিনের বাকি ছিল ১ ওভার। তার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করে দেন লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ইয়াসিরের শিকার ৮ উইকেট।ইউনিসের বয়স ৩৯ বছর ১৬৭ দিন। পাকিস্তানের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি টেস্টে ১০ হাজারের ওপর রান করেছেন। ১১৮ টেস্টে ৫২.০৫ গড়ে রান ১০ হাজার ৯৯। সেঞ্চুরি ৩৪টি, যা পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ। মিসবাহর বয়স ৪২ বছর ৩৫২ দিন। ৭২ টেস্টে রান করেছেন ৫ হাজার ২২২। দুই লিজেন্ডারি ক্রিকেটার বহু টেস্ট জিতিয়েছেন পাকিস্তানকে। বিশেষ করে মোহাম্মদ আমির, সালমান বাটদের সেই কেলেঙ্কারির পর পাকিস্তানের নেতৃত্ব নেন মিসবাহ। এরপর পাকিস্তানকে ক্ষুরধার নেতৃত্বে টেস্টে তোলেন টেস্ট র্যাংকিংয়ের এক নম্বরে। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর ইউনিস বলেন, ‘আমি ১৭ বছর টেস্ট খেলেছি। ২৬-২৭ বছর ধরে নিয়মিত ক্রিকেট খেলেছি। ক্রিকেট আমাকে অনেক দিয়েছে। ভবিষ্যতে কী করব, এখনো পরিকল্পনা করিনি।’