সোমবার, ২২ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

রোমাঞ্চকর জয়ে সুপারলিগে শেখ জামাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রোমাঞ্চকর জয়ে সুপারলিগে শেখ জামাল

হাইস্কোরিং ম্যাচে মোহামেডানকে হারিয়ে সুপারলিগ নিশ্চিত করে উচ্ছ্বাস শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ক্রিকেটারদের —বাংলাদেশ প্রতিদিন

সুপার লিগে খেলতে জয়ের বিকল্পের অন্য কোনো রাস্তা খোলা ছিল না শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। হেরে গেলে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের সঙ্গে সমান পয়েন্ট হতো শেখ জামালের। কিন্তু বাইলজ অনুযায়ী ‘হেড-টু-হেড’-এ রূপগঞ্জ জেতা থাকায় সুপার সিক্সে খেলতো রূপগঞ্জ। তাই বিকেএসপিতে মোহামেডানের বিপক্ষে জেতা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না সোহাগ গাজী, তানভীর হয়দারদের। সেই অবিশ্বাস্য কাজটিই করল শেখ জামাল অসাধারণ এক ম্যাচ খেলে। ৬৮২ রানের ‘হাই স্কোরিং’ ম্যাচটি ১ উইকেটে জিতে শুধু রেকর্ডই গড়ল না শেখ জামাল, ওয়ালটন প্রিমিয়ার ক্রিকেটের পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ নম্বরে থেকে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে। মোহামেডানের বিপক্ষে ২ বল হাতে রাখা ম্যাচটি শেখ জামাল জিতেছে শাহাদাত রাজিবের বাউন্ডারিতে।

৩৪০ রানের টার্গেট তাড়া করে জেতা শেখ জামালের পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ১৪। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ১৬ পয়েন্ট করে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থস্থানে আবাহনী, প্রাইম ব্যাংক ও প্রাইম দোলেশ্বর। মোহামেডান ও রূপগঞ্জের পয়েন্ট ১২ হলেও ‘হেড-টু-হেড’ বিবেচনায় সুপার সিক্সে খেলবে মতিঝিল পাড়ার দলটি। রূপগঞ্জ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও কলাবাগান ক্রীড়া চক্র রয়েছে নিরপেক্ষ জায়গায়। রেলিগেশন খেলবে খেলাঘর সমাজকল্যাণ, পারটেক্স ও ভিক্টোরিয়া।

জিততে শেষ ওভারে শেখ জামালের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। প্রথম তিন বলে ২ রান নিলে মোহামেডান-শেখ জামালের স্কোর টাই হয়। শেষ ৩ বলে তখন দরকার দাঁড়ায় ১ রান। বাঁ হাতি স্পিনার এনামুল জুনিয়রকে তুলে মেরে দলকে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দেন শাহাদাত রাজিব। এর আগে শেখ জামাল হারিয়েছিল আবাহনীকেও। বিকেএসপি-৩ নম্বর মাঠে প্রথমে ব্যাট করে মোহামেডান ৫ উইকেটে ৩৩৯ রানের পর্বত সমান স্কোর গড়ে। মতিঝিল পাড়ার দলটিকে পর্বতসমান স্কোর গড়তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন  শামসুর রহমান শুভ ও অধিনায়ক রনি তালুকদার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন ১৭৩ রান। সেঞ্চুরি করেন দুজনেই। শামসুর ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেন ১৫২ বলে ৭ চার ও ৭ ছক্কায়। রনির ১১০ রানের ইনিংসটি সাজানো ৯৯ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায়। টার্গেট ওভার প্রতি ৬.৮। ৩৪০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শেখ জামালকে শক্ত ভিত দেন দুই ওপেনার ফজলে মাহমুদ ও চোপড়া। দুজনে ৬.৩ ওভারে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৫৮ রান। দুই ওপেনারের গড়া ভিতে বাকি ক্রিকেটাররা দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান সহজেই। চোপড়া ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন ৬০ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায়। অলরাউন্ডার সোহাগ গাজী ৮৯ রানের প্রাণবন্ত ইনিংস খেলেন ৬৪ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায়। শেষ দিকে তানভীর হায়দার ৭৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন ৭২ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায়। ইলিয়াস সানি ম্যাচ জেতান ৩৯ রানের সময়োপযোগী ইনিংস খেলে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

মোহামেডান : ৩৩৯/৫, ৫০ ওভার ( শামসুর রহমান ১৪৪, সৈকত আলি ৩৯, রনি তালুকদার ১১০, নাজমুল মিলন ২১। ইলিয়াস সানি ২/৬৬, শাহাদাত রাজিব ১/৫৫, আব্দুল্লাহ আল মামুন ২/৩১)।

শেখ জামাল ধানমন্ডি : ৩৪৩/৯, ৪৯.৪ ওভার ( ফজলে মাহমুদ ২৮, চোপড়া ৮৬, সোহাগ গাজী ৮৯, তানভীর হায়দার ৭৭, ইলিয়াস সানি ৩৯*। মোহাম্মদ আজিম ৪/৭০, তাইজুল ২/৭৬, এনামুল জুনিয়র ২/৬১)।

 ফল : শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ১ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা : শামসুর রহমান শুভ 

সর্বশেষ খবর