শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাংলাদেশেই হবে বিশ্বমানের সাঁতারু : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিদিন ডেস্ক

বাংলাদেশেই হবে বিশ্বমানের সাঁতারু : প্রধানমন্ত্রী

নৌ-বাহিনী সদর দফতরে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সুইমার ট্যালেন্ট হান্ট সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের সাঁতারুরা সঠিক প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলনের মাধ্যমে একদিন বিশ্বমানের প্রতিযোগী হিসেবে গড়ে উঠবে।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে নৌবাহিনীর সদর দফতরের সুইমিংপুল কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ‘সুইমার ট্যালেন্ট হান্ট’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত রাউন্ডের প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। খবর বাসস। তার সরকার দেশের ক্রীড়া উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমাদের খুদে সাঁতারুদের যে নৈপুণ্য দেখলাম তাতে আমি অত্যন্ত আশাবাদী। এখান থেকেই একদিন আমাদের বিশ্বমানের প্রতিযোগী উঠে আসবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি এইটুকু চাই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বসভায় একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হোক। তাই সব ক্ষেত্রেই আমাদের ছেলেমেয়েদের যে মেধা আছে সেই মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে।’নৌবাহিনীর প্রধান এবং বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ মোল্লা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বয়সভিত্তিক শ্রেষ্ঠ আটজন ক্রীড়াবিদের প্রত্যেককে খেলাধুলায় আরও উন্নতি সাধনের জন্য ৫ লাখ টাকা করে চেক প্রদান করেন। এ কর্মসূচি থেকে নির্বাচিত ৬০ কৃতী সাঁতারুর জন্য লেখাপড়াসহ দেশে-বিদেশে তিন বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার নিজের দাদা শেখ লুত্ফর রহমান খেলাধুলা করতেন এবং তাদের পরিবারটাই বিশেষ ক্রীড়ানুরাগী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরিবারটাই খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিল। কামাল, জামাল এবং তাদের স্ত্রী রোজী এবং সুলতানা কামাল সবাই খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত ছিল, আমাদের দুর্ভাগ্য যে তারা আজ আমাদের মাঝে নেই।’

শেখ হাসিনা এ সময় স্কুল পর্যায় থেকে ছেলেমেয়েদের ক্রীড়ামোদী করে গড়ে তুলতে তার সরকারের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গোল্ডকাপ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিযোগিতাগুলোর আয়োজন করছি তাতে আমাদের খেলাধুলায় উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছোটবেলা থেকেই প্রশিক্ষণ প্রদান জরুরি।’ একই সঙ্গে তার সরকার দেশজ খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিয়ে সেগুলো চর্চারও ব্যবস্থা করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমি মনে করি একদিকে যেমন আমাদের ছেলেমেয়েরা শারীরিকভাবে সুগঠিত হবে; অন্যদিকে মনের দিক থেকে উদার হবে, মানসিক শক্তি পাবে। তাদের ভিতরে আত্মবিশ্বাস জেগে উঠবে।’ এ সময় লেখাপড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘লেখাপড়া শিখতে হবে, লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলাকেও আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কাজেই এই খেলাধুলার মধ্য দিয়েই আমাদের শিশুরা মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে।’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মধ্যে লুক্কায়িত মেধাকে খুঁজে বের করতে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরেন। বক্তৃতার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

সর্বশেষ খবর