শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

রানে ভাসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০০৬ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সেরা আট দলের এই টুর্নামেন্টে টাইগারররা অংশ নিচ্ছে র‌্যাঙ্কিংয়ের ৬ নম্বর দল হয়ে। ১ জুন উদ্বোধনী দিনে লন্ডনের ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড আতিথিয়েতা দেয় মাশরাফিদের। তামিম ইকবালের ১২৮ রানে ভর করে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান করে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে বাংলাদেশের যা সর্বোচ্চ দলগত স্কোর এবং তামিমের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম খেলেন ৭৯ রানের ইনিংস। টাইগারদের ছুড়ে দেওয়া টার্গেট টপকে যায় স্বাগতিকরা ১৬ বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়ে। ইংলিশদের পক্ষে জো রুটস খেলেন ১৩৩ রানের ইনিংস। অ্যালেক্স হেলস ৯৫ এবং ইউয়ান মরগান অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে। পরের দিন বার্মিংহামের এজবাস্টনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে (১০০) নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪৬ ওভারের ম্যাচে ৪৫ ওভারে ২৯১। ৩৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট ছিল ২৩৩ রান। কিন্তু ৯ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৩ রান তোলার পর খেলা ভেসে যায় বৃষ্টিতে। ম্যাচে অসি ফাস্ট বোলার জশ হ্যাজলওড নেন ৬ উইকেট। তৃতীয় দিন ওভালে সেঞ্চুরি করেন হাশিম আমলা (১০৩)। আমলার সেঞ্চুরি ও ফাফ ডু প্লেসিসের ৭৫ রানে ভর করে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ছিল ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৯। জবাবে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার ইনিংস থেমে যায় ৪১.৩ ওভারে ২০৩ রানে। প্রোটিয়াসরা জয় পায় ৯৬ রানে। এজবাস্টনে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দেয়নি ভারত। ডার্ক ওয়ার্থ লুইস মেথডে পাকিস্তানকে হারায় ১২৪ রানে। ম্যাচ কোনো সেঞ্চুরি হয়নি। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ছিলেন দুরন্ত। রোহিত শর্মার ৯১, শেখর ধাওয়ানের ৬৮, বিরাট কোহলির অপরাজিত ৮১ ও যুবরাজ সিংয়ের ড্যাসিং ৫৩ রানে ভর করে ৪৮ রানে ৩ উইকেটে ৩১৯ রান করে ভারত। জবাবে ৩৩.৪ ওভারে ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।

প্রথম চার ম্যাচে রান হয়েছে ১৯৪২। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচে রান হয়েছে ৬১৩। ওভার প্রতি স্ট্রাইক রেট ৬.৩০। নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ৫৪ ওভারে সংগ্রহীত রান ৩৪৪। ওভার প্রতি স্ট্রাইক রেট ৬.৩৭। দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ৯১.৩ ওভারে সংগ্রহীত রান ৫০২ এবং ওভার প্রতি স্ট্রাইক রেট ৫.৪৯৮। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রান উঠেছিল ৪৮৩ এবং খেলা হয়েছে ৮১.৪। ওভার প্রতি স্ট্রাইক রেট ৫.৯৩৩। সব মিলিয়ে প্রথম চার ম্যাচে ৩২৪.৩ ওভারে সংগ্রহীত রান ১৯৪২। ওভার প্রতি স্ট্রাইক রেট ৫.৯৮৮। প্রথম চার ম্যাচের স্কোর দেখে বলাই যায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উইকেটগুলো বানানো হয়েছে আইসিসির নির্দেশনায় হাই স্কোরের জন্য। যাতে বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলো ছাড়াও লাভবান হয় স্পন্সর কোম্পানি। দিন শেষে এটাই পরিষ্কার, আইসিসির টুর্নামেন্টগুলো এখন বাণিজ্যিক।

সর্বশেষ খবর