বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ফুটবলাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ফুটবলাররা

ফুটবল মৌসুমের প্রথম আসর ফেডারেশন কাপ শেষ হয়েছে। লিগ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ জুন পেশাদার লিগের পর্দা ওঠার কথা। কিন্তু লিগ পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা আট ক্লাব লিগ কমিটিকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ঈদের আগে তাদের পক্ষে লিগ খেলা সম্ভব নয়। চার ক্লাব চিঠি না দিলেও তারাও এই সময়ে লিগ খেলতে আগ্রহী নয় বলে জানা গেছে। সমস্যা হিসেবে আট ক্লাব বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু তুলে ধরেছে। রমজান মাস তার ওপর প্রচণ্ড গরম। অনেক ফুটবলারই আবার নিয়মিত রোজা রাখেন ও তারাবি পড়েন। তাছাড়া কয়েকটি ক্লাবের বেশ কজন ফুটবলার চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। এই অবস্থায় লিগে অংশগ্রহণ করে কীভাবে?

আজ লিগ কমিটি ক্লাবগুলোর সঙ্গে জরুরি সভায় বসবে। কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী ব্যস্ততার কারণে গতকাল কথা বলতে পারেননি। কিছু দিন আগে তিনি বলেছিলেন, পঞ্জিকা ঠিক রাখতে ১২ জুনই লিগ শুরু হবে। চার ক্লাবের কথা বাদ দিলাম। যে আট ক্লাব চিঠি দিয়েছে তারা তো যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে লিগ পেছাতে বলছে। বৈঠকেও নিশ্চয় তারা তাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরবে। তখন কি লিগ কমিটি তাদের দাবি উপেক্ষিত করতে পারবে? লিগ কমিটির এক সদস্য জানালেন, রমজান মাসে লিগ তো আগেও হয়েছে। এবারে তাহলে সমস্যা কোথায়? হ্যাঁ, তার কথা ঠিক, কিন্তু আগেতো কেউ আপত্তি তোলেনি। এবার আট ক্লাব পেছাতে বলছে। সেক্ষেত্রে লিগ কমিটি নিশ্চয় চার ক্লাবকে নিয়ে লিগ আয়োজন করতে পারবে না। অর্থাৎ ঈদের আগে লিগ যে মাঠে গড়াবে না তা অনেকটা নিশ্চিতই বলা যায়। রমজান মাস তো আছেই। অনেক ফুটবলারই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। এই জ্বরে রোগী কতটা দুর্বল হয়ে পড়ছেন তা নিশ্চয় লিগ কমিটির কর্মকর্তাদের অজানা নয়। দেশের অভিজ্ঞ সংগঠক শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনজুর কাদের বলেন, আমরা তো আর সালাউদ্দিনের গদি সরানোর আন্দোলনে নামেনি। যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছি। ক্লাবগুলো প্রতি মৌসুমে ফুটবলের পেছনে ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে। ক্লাবগুলোই তো ফুটবলকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমরা চাই সুন্দর একটা পরিবেশে লিগ হোক। হ্যাঁ আর্থিক বিষয় নিয়ে আমরা দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছি।  সেখানেও আমরা সেক্রিফাইস করেছি। এরপরও যদি বাফুফে বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করে তাহলে তো প্রশ্ন উঠবেই— তারা এত ফান্ড কোথায় খরচ করে। রমজানও মানবিক ইস্যু নিয়ে লিগ পেছাতে বলেছি। ঈদের পর যদি লিগ হয় ফুটবলে কি এমন ক্ষতি হবে। ক্ষতি করার বাফুফে আর কি বাকি রেখেছে? ক্লাবগুলোই চাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবল অন্তত বেঁচে থাকুক। শেখ রাসেলের পরিচালক (ক্রীড়া) সালেহ জামান সেলিমও বলেছেন লিগ পেছাতেই হবে। বাফুফে কি ক্লাবের সমস্যা বিবেচনা করবে না?

সর্বশেষ খবর