বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পরিত্যক্ত

সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়াম

সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কিশোরগঞ্জ

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পরিত্যক্ত

অযত্নে পড়ে আছে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়াম —বাংলাদেশ প্রতিদিন

কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা না করলেও প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এক প্রকার পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামটি। এখানে কোনো ফুটবল বা ক্রিকেটের আসর হয় না, এমনকি ছোটখাটো খেলাধুলাও করা যায় না। ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণের কারণেই স্টেডিয়ামটি খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কিশোরগঞ্জ শহরের আলোরমেলা এলাকায় ২০০৬ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সময় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়। ওই বছরের ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করেছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এর নামকরণ করা হয় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়াম। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণের কারণে স্টেডিয়ামটি নির্মাণের পর থেকেই প্রায় পরিত্যক্ত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকায় স্টেডিয়ামের পাকা গ্যালারি ভেদ করে গজিয়েছে গাছ-গাছড়া। ভিতরে খেলার মাঠটি এবড়ো থেবড়ো। বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। খেলার অনুপযোগী থাকায় এ মাঠে কোনো খেলাধুলার আয়োজন হয় না। এর ফলে হতাশ এখানকার ক্রীড়ামোদিরা। খেলাধুলা না হলেও এ স্টেডিয়ামে বিভিন্ন সময় বাণিজ্য মেলাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান হয়েছে। তা ছাড়া কোনো ভিভিআইপির আগমনে স্টেডিয়ামটিকে হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য হেলিপেড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিশোরগঞ্জ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু এ প্রসঙ্গে বলেন, স্টেডিয়ামটি নির্মাণের সময়ই অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। আর সে কারণে শুরু থেকেই এটি পরিত্যক্ত। তবে আশার কথা, বর্তমান সরকারের দেওয়া ১৫ কোটি টাকায় নতুন করে কিছু কাজ ও আগের কাজ সংস্কার করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পুরনো স্টেডিয়ামে একটি সুইমিং পুল ও ব্যায়ামাগার নির্মাণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১১ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য ডিও ইস্যু করেছিলেন। কিন্তু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সেটি এখনো পাস করেনি। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিটি উপজেলায় সুইমিং পুল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন হবে। 

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাসউদ জানান, নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া ১৫ কোটি টাকায় ১২টি এক্সটেনশনের কাজ চলছে। কাজগুলো গুরুত্ব সহকারে তদারকি করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের জুন মাসে কাজগুলো সম্পন্ন হবে এবং এর আগেই স্টেডিয়ামটি খেলাধুলার উপযোগী হবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর