সোমবার, ১৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফখরের বাজিমাত

আসিফ ইকবাল

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফখরের বাজিমাত

১৯৯২ সালে ইনজামাম উল হকের বয়স ছিল মাত্র ২২। তরুণ ইনজামাম বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলতে এসেছিলেন প্রথমবারের মতো। তরুণ, তাই উত্তেজনা অনেক বেশি। রক্তে নাচনও বেশি। দলে ছিলেন ইমরান খান, জাভেদ মিয়াঁদাদ, ওয়াসিম আকরামদের মতো ক্রিকেটার। তারপরও পাকিস্তান প্রথম ও শেষবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেট জিতেছিল তরুণ ইনজামামের চওড়া ব্যাটের হাসিতে। ২৫ বছর পর আইসিসির আরেকটি বড় টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নতুন ‘সেনসেশন’ খুঁজে পেয়েছে পাকিস্তান। ফখর জামান; বয়স ২৭। প্রথমবারের মতো আইসিসির বড় কোনো টুর্নামেন্টে খেললেন। নেমেই বাজিমাত। অনেকটা যেন এলাম, দেখলাম ও জয় করলাম। যেমনটা করেছিলেন ইনজামাম ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। ফখর এতটাই ভালো ব্যাটিং করেছেন আসরে, যে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডেতে নামের পাশে লিখে ফেলেছেন ১১৪ রানের নান্দনিক ইনিংস।

পাঁচ বছর ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছেন ফখর। কিন্তু আলোচনায় আসার মতো পারফরম্যান্স ছিল না। কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে গড় ৪২ এবং লিস্ট ‘এ’তে-গড় ৫০। তারপরও নির্বাচকদের নজর কাড়তে ব্যর্থ হচ্ছিলেন লিজেন্ড ব্যাটসম্যান ইউনিস খানের প্রদেশ মারদানের ক্রিকেটার ফখর জামান। গত বছর কায়দে আজম ট্রফিতে ৫১ গড়ের পারফরম্যান্স করে জায়গা করে নেন পাকিস্তান দলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই অভিষেক ফখরের। লিগ পর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে খেলেননি। অভিষেক হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। কিন্তু বাঁ হাতি ওপেনার ৩১ রানের ইনিংস খেললেও আলো ছড়াতে পারেননি। কার্ডিফে পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০ এবং সেমিফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। টানা দুই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করে ভরসা হয়ে উঠেন দলের। গতকাল ওভালে ফাইনালে খেললেন সোনালি হরফে লেখা এক অনিন্দ্য সুন্দর ইনিংস। ১১৪ রানের ইনিংসটি খেলেন ১০৬ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায়। সেঞ্চুরি করেন মাত্র ৯২ বলে। প্রথম ৫০ রান করেছিলেন ৬০ বলে। দ্বিতীয় ৫০ রান করেন ৩২ বলে। পাকিস্তানের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেঞ্চুরি করেন ফখর জামান। আগের দুই সেঞ্চুরিয়ান সাঈদ আনোয়ার ও শোয়েব মালিক। শোয়েব আবার সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতের বিপক্ষে। গতকাল ওভালে ফখর জামানের সেঞ্চুরিতেই ফাইনালে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৩৮।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর