মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাধারণ সম্পাদক পদে মুখোমুখি রহমতউল্লাহ-রশিদ

হকির নির্বাচন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাধারণ সম্পাদক পদে মুখোমুখি রহমতউল্লাহ-রশিদ

তারিখ নির্ধারণ হয়নি। তবু হকি ফেডারেশনের নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে। বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুলাই। তার আগেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। তবে আগস্টে যে নির্বাচন হচ্ছে তা নিশ্চিতই বলা যায়। হকি ফেডারেশনের সাধারণ পরিষদের মোট কাউন্সিলর ৮৬ জন। এর মধ্যে জেলা ও বিভাগের ৪১ জন। প্রিমিয়ার, প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব ৩১, ক্রীড়া পরিষদের ৫, সেনা, বিমান, নৌবাহিনী ১টি করে, মহিল ক্রীড়া সংস্থা ১, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ১, আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ১, পুলিশের ২টি ও সর্বশেষ নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ১টি।

মূলত সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে উত্তেজনাটা বেশি। এ ক্ষেত্রে প্রার্থী হিসেবে খাজা রহমতউল্লাহ, শফিউল্লাহ আল মুনীর ও রশিদ শিকদারে নাম জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছিল। সবার আগে মুনীর প্রচার অভিযানেও নামেন। এখন শোনা যাচ্ছে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছেন না। রহমত উল্লাহ ও রশিদের নামই আলোচনায় আসে। সাধারণ সম্পাদক পদে সাজেদ এ এ আদেল নির্বাচনী পোস্টার লাগিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তার অন্য পদেই দাঁড়ানোর সম্ভাবনা বেশি।

রহমতউল্লাহ ও রশীদ গতবার এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। এবার দুইজন একে অপরের প্রতিপক্ষ। গেল নির্বাচনে রহমতউল্লাহ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে মোহামেডান মেরিনার্সসহ কয়েকটি ক্লাবের আন্দোলনে তিনি এই পদ থেকে সরে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হন। দেশের হকির কিংবদন্তি আবদুস সাদেক বর্তমানে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। খাজা রহমতউল্লাহ চাচ্ছেন নির্বাচিত হয়ে আবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ফিরে পেতে। রশিদ শিকদার দীর্ঘদিন ধরে ফেডারেশনের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকলেও কখনো সাধারণ সম্পাদক হননি। এবারই লড়ছেন এই পদে। তিনি হকির প্রতিষ্ঠিত ক্লাব ঊষা ক্রীড়াচক্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ রশীদ। কিন্তু খাজা রহমতউল্লাহ শুধু সফল সংগঠক হিসেবে পরিচিত নন তিনি দেশের সাড়া জাগানো খেলোয়াড়ও ছিলেন। প্রকৃত হকির লোক বলতে যাকে বোঝায় তাদের মধ্যে রহমতউল্লাহ অন্যতম। শেষ পর্যন্ত দুই জন যদি সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থী হন তাহলে লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে তা নিয়ে সংশয় নেই।

সর্বশেষ খবর