মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

আসরে নজর কাড়লেন যারা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আসরে নজর কাড়লেন যারা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে বিদায় নিলেও আসরের সবচেয়ে আলোচিত দল বাংলাদেশ। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে পেছনে ফেলে সেমিফাইনাল খেলে ক্রিকেট বিশ্বকে বিস্মিত করেছেন মাশরাফিরা। চ্যাম্পিয়নশিপে যে কয়েকজন ক্রিকেটার আলো ছড়িয়েছেন, তাদের অন্যতম তামিম ইকবাল। আলো ছড়ানো ক্রিকেটারদেরই পারফরম্যান্স তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।

আসরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে আতিথিয়েতা দিয়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে ৩০৫ রান করে টাইগাররা। তামিমের ব্যাট থেকে আসে ১২৮ আলো ঝলমলে ইনিংস। ১৪২ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১২টি চার ও ৩টি ছক্কা। ১১ বছর খেলতে নেমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলগত সর্বোচ্চ স্কোর গড়েও হেরে যায় মাশরাফিবাহিনী ইংল্যান্ডের দাপুটে ব্যাটিংয়ে। সেঞ্চুরি করে জো রুটস। ১৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রুটস ১২৯ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায়। দুর্ভাগ্য অস্ট্রেলিয়ার। নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ম্যাচ দুটি ভেস্তে যায় বৃস্টিতে। ফলে শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শূন্য হাতে ফিরে যায় আসর থেকে। তামিম ছাড়াও দুই টাইগার ক্রিকেটার বিস্ময়ের জন্ম দেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে। সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও পঞ্চম উইকেট জুটিতে অবিশ্বাস্য জুটি গড়ে দলকে টেনে তুলেন সেমিফাইনালে। সেঞ্চুরি করেন দুজনেই। সাকিব ১১৪ ও মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ১০২ রানে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের ব্যাট হেসেছে ওই এক ম্যাচেই। ৪ ম্যাচে সাকিব রান করেন ১৬৮। মাহমুদুল্লাহ রান করেন ৪ ম্যাচে ১৩৭। মুশফিক সেঞ্চুরি না করলেও রান করেন ১৬৩। বাঁ হাতি ওপেনার শেখর ধাওয়ান টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন। ইংলিশ ওপেনার বেন স্টোকস দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৪ ম্যাচে রান করেছেন ২৫৮। সেমিফাইনাল খেলতে না পারলেও দারুণ খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনাযক কেন উইলিয়ামসন। প্রথম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন। তিন ম্যাচে ব্ল্যাক ক্যাপস অধিনায়কের রান ২৪৪। পাকিস্তানের সফল ব্যাটসম্যান ওপেনার আজহার আলি। ৫ ম্যাচে তার রান ২৬৩। হাফসেঞ্চুরি ৩টি। তবে আলোচিত ব্যাটসম্যান পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামান। আসরের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে নামেননি। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেললেও ৩১ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০ এবং কার্ডিফে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। ফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেন ১০৬ বলে ১১৪ রানের ইনিংস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নতুন ‘সেনসেসন’ ফখর ৪ ম্যাচে রান করেছেন ২৫২।

বোলিংয়ে সফল বোলার পাকিস্তানের হাসান আলি। ফাইনালের আগের ৫ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৩টি। টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি। ৯ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলওড। ইংলিশ ফাস্ট বোলার রিয়াম প্লাঙ্কেটের উইকেট ৪ ম্যাচে ৮টি।

সব মিলিয়ে রান বন্যার টুর্নামেন্ট হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ব্যাটসম্যানদের মারকাটারি স্ট্রোকের বাহারে নাভিশ্বাস উঠেছে বোলারদের। এতে লাভবান হয়েছেন দর্শকরা। দেখেছেন চার-ছক্কার বাহারি সব শটস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর