বুধবার, ৫ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফিটনেস নিয়েই ভাবছেন ইমরুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফিটনেস নিয়েই ভাবছেন ইমরুল

ব্যাটসম্যানদের দাপুটে পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে দৈন্য দশাও পরিলক্ষিত হয়েছে। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাটিংয়ে ছিল না ধারাবাহিকতা। আসর শুরুর আগে দুই প্রস্তুতি ম্যাচে টাইগারদের ব্যাটিংয়ের চিত্র ছিল দুই রকম। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪১ রান করেছিলেন টাইগাররা। কিন্তু পরের প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধেই আবার পেতে হয়েছে ৮৪ রানের লজ্জা। আবার মূলপর্বের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারলেও তিন শতাধিক রান করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে আবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাটিং ধস। তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়টা এসেছে আবার ব্যাটসম্যানদের দাপটেই। সাকিব-মাহমুদুল্লার সেই ২২৪ রানের মহাকাব্যিক জুটি। সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে আবারও ব্যাটিংয়ে দৈন্যদশা।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটির সমস্যাটা ছিল চোখে পড়ার মতো। একপ্রান্তে ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবাল যেমন অনেক বেশি ভালো খেলেছেন, অন্যপ্রান্তে সৌম্য সরকার ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ। পুরো টুর্নামেন্টেই ওপেনিং জুটি দলকে ভুগিয়েছে। তামিমের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি সৌম্য। অথচ কয়েক বছর আগেও তামিমের সঙ্গে ইমরুল কায়েসের কী অসাধারণ ওপেনিং জুটি ছিল! সেই ইমরুল এখন একাদশে নিয়মিত নন। সাম্প্রতিক ইমরুলের পারফরম্যান্স যে খুব খারাপ তাও নয়! এই ব্যাটসম্যানকে দল থেকে বাদ পড়তে হচ্ছে ফিটনেসের কারণে।

তবে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের জন্য নিজেকে নতুন করে প্রস্তুত করছেন ইমরুল। ব্যাটিং অনুশীলনের চেয়েও বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন ফিটনেসের দিকে। ইমরুল বলেন, ‘এখন আর ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি না। অনেক কাজ করেছি ব্যাটিং নিয়ে। ফিটনেস নিয়ে কাজ করব। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যদি খেলার সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করব শেষে যেভাবে টেস্ট ম্যাচ খেলেছি ওইভাবে খেলার।’

ইমরুল বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে তিন সপ্তাহের ক্যাম্প আছে এটা ফিটনেসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের সবারই ভালো করার একটা লক্ষ্য রয়েছে। আমারও ভালো করার ইচ্ছা আছে। যদিও আমি কখনো ব্যক্তিগতভাবে কোন লক্ষ্য সেট করি না। কারণ এতে চাপ বেড়ে যায়। খেলতে থাকি, তারপর ইনিংসটাকে বড় করতে থাকি।’ আগামী আগষ্টে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজকেই ‘পাখির চোখ’ করে রেখেছেন ইমরুল, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য একটা বড় সুযোগ। তাদের সঙ্গে আমরা সব সময় খেলার সুযোগ পাই না। যদি আমরা সে সুযোগটা এবার পাই তাহলে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। দল হিসেবে খেলার চেষ্টা করব। ভালো ফলাফল করার চেষ্টা করব।’

এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা বোলিং আক্রমণ অস্ট্রেলিয়ার। তবে এ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন এই ব্যাটসম্যান, ‘আন্তর্জাতিক সব দলেরই একটা ভালো পেস বোলিং ইউনিট থাকে, অস্ট্রেলিয়ারও আছে। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। এখন এটা নিয়ে কেউ চিন্তাও করে না। আমার মনে, হয় বাংলাদেশ এখন ভালো পেস    বল খেলে।’

প্রতিপক্ষ কে বা কত বড় দল তা নিয়ে ভাবছেন না ইমরুল। তার কাছে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে পারাটাই বড় কথা। আর বাংলাদেশ যদি নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে পারেন তবে যেকোনো দলকেই হারানোর ক্ষমতা রাখে। ইমরুল দাবি করেন, ‘আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যখন খেলেছিলাম তখন ভেবেছিলাম ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা অনেক কঠিন হবে। কারণ ইংল্যান্ড টেস্টের সেরা দল। যখন আমরা ওদের বিপক্ষে খেলা শুরু করেছি তখন আমরা বুঝেছি পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে কি হচ্ছে। আমার মনে হয়, কোন দল শক্তিশালী বা কোন দল দুর্বল এসব চিন্তা না করে দল হিসেবে নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারাটাই বেটার।’

সর্বশেষ খবর