বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢাকায় লড়বেন বিশ্বসেরা রেসলাররা!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঢাকায় লড়বেন বিশ্বসেরা রেসলাররা!

টিভির স্পোর্টস চ্যানেলে ফুটবল ও ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ফুটবলে বিশ্বকাপ বা ইউরোপিয়ান লিগের খেলা বাংলাদেশের দর্শকরা রাত জেগে দেখেন। ক্রিকেটে বাংলাদেশের খেলা হলে তো কথাই নেই। রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। কিন্তু আরেক খেলা কুস্তি বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয়। টিভিতে যখন রেসলিং প্রতিযোগিতা হয় তখন চোখ ফেরানো মুশকিল হয়ে পড়ে। অবুঝ শিশুরাও রেসলিংয়ে অবাক হয়ে টিভির দিকে চেয়ে থাকে। বিশ্বের বিখ্যাত বিখ্যাত রেসলারদের কলাকৌশল দেখে মুগ্ধ। রেসলাররা লড়াইয়ে সময় যে চেহারা প্রদর্শন করেন তা দেখে দর্শকরাও চিৎকার দিতে থাকেন। বাংলাদেশের দর্শকরা টিভিতে রেসলিং চলাকালে অন্য চ্যানেলের কথা ভুলে যান।

পৃথিবী জুড়েই রেসলিংয়ের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই রেসলিংয়ের সঙ্গে জড়িত। তার নিজস্ব রেসলিং ক্লাবও রয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ব্যস্ততা কেমন হতে পারে তা কারও অজানা নয়। এরপরও ট্রাম্প এখনো ছুটে যান রেসলিং দেখতে। সাধারণ দর্শকদের সঙ্গে তিনিও উল্লাস প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের ক্রীড়ামোদীরা এতদিন টিভিতে রেসলিং দেখেছেন। এবার গ্যালারিতে বসে সরাসরি বিখ্যাত কুস্তিগীরদের দেখার সুযোগ পেতে পারে। বাংলাদেশ কুস্তি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অভিজ্ঞ সংগঠক তাবিউর রহমান পালোয়ান জানালেন, কুস্তির জনপ্রিয়তা বাড়াতে তারা চেষ্টা করছেন চলতি বছরেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জমকালো রেসলিংয়ের আয়োজন করতে। অনেক আগে থেকেই ফেডারেশন এ ব্যাপারে চেষ্টা চালাচ্ছে। বেশ কজন রেসলারের সঙ্গে পালোয়ান আলোচনাও করেছেন বলে জানান। টিভিতে যাদের দেখা যায় মূলত তাদেরই আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় আসতে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সমস্যা হচ্ছে এই ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রেসলিং ফেডারেশনের অনুমতি পাওয়াটা মুশকিল। চূড়ান্ত অনুমতি দেওয়ার আগে তারা পর্যবেক্ষক দল পাঠায়। তাদের সবুজ সংকেত মিললেই আন্তর্জাতিক রেসলিং ফেডারেশন অনুমতি দেয়। পালোয়ান বললেন আশা রাখি এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ফেডারেশন না করবে না। কারণ আমরা কুস্তির জনপ্রিয়তা বাড়াতে প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছি।

তাবিউর জানান, ভারত, পাকিস্তানের কুস্তিগীরদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। বাংলাদেশের কুস্তিগীররাও অংশ নেবে। প্রচুর ফান্ডের প্রয়োজন পড়বে। এ নিয়ে তাবিউর বিচলিত নয়। তিনি জানান, স্পন্সরে ঠিকই সাড়া পাব। ঢাকায় বড় ধরনের কুস্তি বসেছিল ১৯৮৯ সালে। পাকিস্তানের নাসের ভুলু, আনোয়ার হোসেন, দবির রফিক, ভারতের ফাজিল পালোয়ান, বিকে শর্মা, পিয়ারা লাল ও বাংলাদেশের টাইগার জলিলের কুস্তি দেখতে তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে উপচেপড়া দর্শকের সমাগম হয়। এমন আয়োজনে বাংলাদেশের কুস্তিরও জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছিল। পালোয়ান বলেন, আমরা বসে থাকেনি। বার বার চেষ্টা চালিয়েছি। ক্রীড়া পরিষদ সবুজ সংকেত দিলেও বাফুফে মাঠ ছাড়তে রাজি না হওয়ায় পিছিয়ে যায়। এবার পৃথিবীর বিখ্যাত রেসলারদের আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে বাফুফের না বলার উপায় নেই। কারণ এত বড় আয়োজনে সহযোগিতা করতে সরকারের প্রভাবশালী মহলও এগিয়ে আসবে। টার্গেট রয়েছে সামনের নভেম্বর বা ডিসেম্বরের দিকে আন্তর্জাতিক রেসলিংয়ের আয়োজন করতে। দেখি শেষ পর্যন্ত পারি কিনা।

সর্বশেষ খবর