শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রতিভার সন্ধানে যুব গেমস

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রতিভার সন্ধানে যুব গেমস

চার বছর পর পর বাংলাদেশ গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এই গেমসের আয়োজক। নিয়ম থাকলেও কখনো নিয়ম মানা হয়নি। এ নিয়ে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে এককভাবে দায়ী করা যাবে না। ফেডারেশনের প্রস্তুতি না থাকার নিয়ম মেনে বাংলাদেশ গেমস করা সম্ভব হয়নি। রাজধানীসহ এই গেমসের বিভিন্ন ইভেন্ট ঢাকার বাইরেও হওয়ার কথা। অথচ ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে গেমস। নিয়ম অনুযায়ী চলতি বছরেই বাংলাদেশ গেমস হওয়ার কথা। কিন্তু হচ্ছে না। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভা সন্ধানে যুব গেমস আয়োজনের। উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এমন আয়োজন তরুণ ক্রীড়াবিদদের মধ্যে উৎসাহ বাড়ছে। মিলতে পারে নতুন প্রতিভারও সন্ধান। তবে যুব গেমসের চূড়ান্ত তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেন, নতুন নির্বাচিত কমিটি খেলাধুলার উন্নয়নে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে যুব গেমস অন্যতম। অলিম্পিক সংশ্লিষ্ট প্রায় প্রতিটি ডিসিপ্লিন এই গেমসে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিভিন্ন জেলার খেলোয়াড় বাছাই করে ঢাকায় চূড়ান্ত গেমস হবে। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন চাচ্ছে নতুন খেলোয়াড় বের হয়ে আসুক। যারা আগামীতে জাতীয় দলে খেলে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করবে। তৃণমূল পর্যায় থেকে ভালোমানের খেলোয়াড় বের হয়ে আসলে তাদের জন্য উন্নতমানের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্বের অন্য দেশগুলো ক্রীড়াঙ্গনে এভাবেই এগুচ্ছে।’ যুব গেমস হোক এটা সবার কাম্য। কিন্তু কবে তা চূড়ান্ত হয়নি। তবে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়শনের টার্গেট রয়েছে সামনের শীতেই আয়োজন করতে। সত্যি কথা বলতে কি আন্তর্জাতিক গেমসে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের খুবই করুণ হাল। অলিম্পিকে এখনো কোনো পদক জিততে পারেনি। কমনওয়েলথ গেমসে ১৯৯০ ও ২০০২ সালে শুটিংয়ে সোনা জিতে। এশিয়ান গেমসে স্বপ্নের সোনা আসে দলীয় খেলা ক্রিকেট থেকে। ২০১০ সালে আশরাফুলের নেতৃত্বে টি-২০ ইভেন্টে প্রথম সোনা জিতে বাংলাদেশ। মেয়েরাও রূপা জিতে। পারফরম্যান্সে এখন এতটাই বেহাল দশা সাউথ এশিয়ান গেমসেও সোনা জেতাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। ২০১০ সালে ঢাকায় ১৮টি সোনা জিতলেও গত বছর ভারতে সোনা আসে মাত্র তিনটি। তাও আবার মেয়েদের বদৌলতে। সাঁতারে মাহফুজা খাতুন শিলা ২ ও জিমন্যাস্টিকসে সাবিনা আক্তার সীমান্ত ১টি সোনা জিতে।

সাঁতার, অ্যাথলেটিকস ও শুটিংয়ে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা থাকলেও সেই আশায় গুঁড়েবালি। নতুন নতুন প্রতিভা বের করতে হবে। এ জন্য যুব গেমসের দিকে তাকিয়ে আছে ক্রীড়ামোদীরা। উদ্যোগ যখন নেওয়া হয়েছে তখন যুব গেমসের পর্দা উঠবে ঠিকই। কিন্তু সংশয় আছে যে উদ্দেশ্য এ আয়োজন সেখানে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা। কেননা বাংলাদেশে কোনো খেলা মানেই কর্মকর্তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের চেষ্টা করা। এখন এসব কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত থাকতে পারবে কি যুব গেমস?

যুব গেমস হলে অবশ্যই ক্রীড়াঙ্গন উপকৃত হবে। তাই দেশবাসীর প্রত্যাশা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এমন কিছু করুক যা বিতর্ক       মুক্ত থাকে।

সর্বশেষ খবর