শিরোনাম
সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

স্বপ্ন সত্যি হলো মুগুরুজার

ক্রীড়া ডেস্ক

স্বপ্ন সত্যি হলো মুগুরুজার

দিন কয়েক পরই ফেদেরারের ৩৬ বছর হচ্ছে। আর স্প্যানিশ সুন্দরী গারবিন মুগুরুজার ২৪ বছর হবে অক্টোবরে। ড্যান্স পার্টনার হিসেবে স্প্যানিশ সুন্দরী সমবয়সী কাউকে বেছে নিতে পারতেন। উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নদের ডিনার পার্টিতে চিলিচই হতে পারত তার কাঙ্ক্ষিত পার্টনার। কিন্তু তার ইচ্ছে ১৪ বছরের বড় ফেদেরারকে ড্যান্স পার্টনার করবেন। ফেদেরার মুগুরুজার এই ইচ্ছে পূরণ করতে পারবেন কি না বলা মুশকিল। গত রাতে চিলিচকে হারিয়ে থাকলেই কেবল ডিনার পার্টিতে মুগুরুজার ইচ্ছে পূরণ হতে পারে। ওসব না হয় পরের কথা। আপাতত সত্যিটা হচ্ছে, উইলিয়ামস পরিবারের বড় মেয়ের দুরন্ত ফর্মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো উইম্বলডন জয় করেছেন গারবিন মুগুরুজা। উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপের বোর্ডে এখন থেকে জ্বলজ্বল করবে এ স্প্যানিশ তরুণীর নামও। স্বপ্ন সত্যি হলো মুগুরুজার। দুই বছর আগে এখানেই ফাইনালে সেরেনার কাছে পরাজিত হয়ে শিরোপাবঞ্চিত হয়েছিলেন মুগুরুজা। এবার বড় বোনকে হারিয়ে ইচ্ছে পূরণ করলেন তিনি। সেন্টার কোর্টে লড়াই করছেন ভেনাস উইলিয়ামস আর গারবিন মুগুরুজা। এদিকে রয়াল বক্সে বসে ম্যাচ উপভোগ করছেন স্প্যানিশ রাজা হুয়ান কার্লোস। দায়িত্ব বোধ হয় অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল মুগুরুজার। সেই সঙ্গে প্রেরণাও পেয়েছিলেন অনেক। ভেনাসকে তো তিনি দাঁড়াতেই দেননি। প্রথম সেটটা কোনোমতে লড়াই করেছিলেন ভেনাস। দ্বিতীয় সেটে একেবারে ৬-০ গেমে পরাজয়! ২০০০ সালে লিন্ডসে ডেভেনপোর্টকে হারিয়ে ভেনাস ক্যারিয়ারের প্রথম উইম্বলডন জিতেছিলেন। তখন মুগুরুজা স্কুল বালিকা। তিনি ম্যাচ দেখতেন আর ভাবতেন, ইশ, আমিও যদি এমনই করে খেলতে পারতাম। গত শনিবার ফাইনাল জিতে সংবাদ সম্মেলনে মুগুরুজা বলেছেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, টিভিতে এসব ফাইনাল দেখতাম। ভেনাসের খেলাও দেখেছি। আর এখন ওর বিরুদ্ধে খেললাম। ভাবলেই কেমন বিস্ময় লাগে।’ এ বিস্ময়ের কারণ অবশ্যই ভেনাস। মুগুরুজার গুরু কনচিতা ১৯৯৪ সালের উইম্বলডন ফাইনালে বুড়ো মার্টিনা নাভ্রাতিলোভাকে জিততে দেননি। সেবার জিততে পারলে দারুণ এক রেকর্ডই হতো নাভ্রাতিলোভার। এবার জিতলে যেমন ভেনাসের হতো। গুরু শিষ্য মিলে টেনিস ইতিহাসের দুটি দারুণ রেকর্ড রুখে দিয়েছেন! অবশ্য উইম্বলডন হেরে যাওয়ার পর ভেনাস ঘোষণা করেছেন, ‘আমি আবার ফিরে আসব।’

সর্বশেষ খবর