মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাংলাদেশে আসবে না স্মিথ-ওয়ার্নাররা!

ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশে আসবে না স্মিথ-ওয়ার্নাররা!

বাংলাদেশের ক্রিকেটার, ক্রিকেটপ্রেমী এবং ক্রিকেট বোর্ড অধীর অপেক্ষায় ক্ষণ গুনছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) মধুর ঘোষণার। অপেক্ষা করছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজ খেলার। সফর না হওয়ার বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু দেশটির ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেটারদের সংগঠনের মধ্যে টানাপড়েনের জন্য সন্দেহের বেড়াজালে আটকে পড়েছে সফরটি। আসন্ন সিরিজ নিয়ে সর্বশেষ খবর প্রকাশ করেছে ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’। খবরে বলা হয়েছে বাংলাদেশ সফরের আগে যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা সফর করবেন না। সিডনিতে ক্রিকেটারদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক শেষে গোপন ভোটাভুটিতে অসি সিনিয়র ক্রিকেটাররা সফর বয়কটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।

২০০৬ সালে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ খেলতে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর গত ১১ বছরে একবার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ও টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে গেছে অস্ট্রেলিয়া। বাইলেটারাল সিরিজের ফিরতি হিসেবে ২০১৫ সালের অক্টোবরে সিরিজ খেলতে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তার অজুহাতে সফর স্থগিত করে সিএ। অবশ্য তখনই দেশটির বোর্ডের সিইও জেমস সাদারল্যান্ড জানিয়েছিলেন সুবিধামতো যে কোনো এক সময় বাংলাদেশ সফর করবে অস্ট্রেলিয়া। সে হিসেবেই চলতি আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দুই টেস্ট খেলতে আসার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। শুধু তাই নয়, ২৮-৩১ আগস্ট ও ৪-৮ সেপ্টেম্বর দুই টেস্টের তারিখ এবং সিএ ১৩ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে। কিন্তু লভ্যাংশের অর্থ নিয়ে দেশটির ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের টানাপড়েনের সৃষ্টি হলে সংকটে পড়ে যায় বাংলাদেশ সফর। শুধু বাংলাদেশ সফর নয়, সংকটে পড়েছে অ্যাসেজের ভবিষ্যৎও। দুই পক্ষের কঠোর অবস্থানের ফলে ৩০ জুন থেকে অস্ট্রেলিয়ার ২৩০ ক্রিকেটার চাকরিহীন হয়ে পড়েন। এটা মেনে নিতে পারছে না ক্রিকেটারদের সংগঠন। সংগঠনটি সর্বশেষ প্রস্তাব দিয়েছে, গ্রাসরুট লেবেলের উন্নয়নের জন্য বাড়তি ৩০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি দূর এগোয়নি।

দ্য অস্ট্রেলিয়ান জানাচ্ছে, নিজেদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেই স্মিথ ও ওয়ার্নার সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি সিএ তাদের প্রস্তাবে রাজি না হয়, তাহলে বাংলাদেশ সফরে যাবে না। সফরকে সামনে রেখে ১০ আগস্ট ডারউইনে অনুশীলন শুরুর কথা। সেখানে যোগ দেবেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু অপেক্ষা করবেন ১৭ আগস্ট পর্যন্ত। তখনো যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে বয়কটের পথই বেছে নিবেন স্মিথরা। উল্লেখ্য, ১৮ আগস্ট ঢাকায় আসার কথা অস্ট্রেলিয়ার। বয়কটের বিষয় নিয়ে ওয়ার্নার টুইটারে লিখেছেন, ‘নিশ্চিত নয়, সমাধান না হলে ক্রিকেটাররা কতটা ছাড় দিবেন। আমরা গর্বিত, গ্রাস রুট লেবেলে আরও ৩০ মিলিয়ন ডলার বাড়তি দেওয়ার প্রস্তাবে।’ দলের পেসার প্যাট কামিন্স সমর্থন দিয়েছেন ওয়ার্নারকে, ‘ক্রিকেটাররা সবাই হতাশ। আমরা সবাই খেলতে চাই।’

সর্বশেষ খবর