সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

এক দিকে নির্বাচন আরেক দিকে এশিয়া কাপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এক দিকে নির্বাচন আরেক দিকে এশিয়া কাপ

অক্টোবরে ঢাকায় এশিয়া কাপ হকি। রাতের বেলায় আসর বলেই মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইট বসানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। ক্রীড়া পরিষদের ভাষ্য অনুযায়ী সেপ্টেম্বর প্রথম দিকেই ফ্লাড লাইটের কাজ সম্পন্ন হবে। তবে কাজের অগ্রগতি সেভাবে চোখে পড়ছে না। ১৯৮৫ সালে ঢাকায় আরও একবার এশিয়া কাপ হকির আয়োজন হয়। তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে আসরটি অনুষ্ঠিত হয়। ৩২ বছর পর ঢাকা হকির এই আসরে দেখা মিলবে নতুন রূপে। ৮৫তে এশিয়া কাপে দেশে হকির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছিল। এবারের এশিয়া কাপ হকিকে কতটা জাগিয়ে তুলবে সেটাই দেখবার বিষয়।

এশিয়া কাপ শুধু এশিয়ার নয়, শক্তিশালী দেশগুলো অংশ নেয় বলে এ টুর্নামেন্ট বিশ্বে হকিপ্রেমীদের নজর কাড়বে। ভারত ও পাকিস্তান আগের অবস্থানে না থাকলেও বিশ্ব হকিতে তাদের ইমেজ এখনো রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াও যথেষ্ট শক্তিশালী দেশ। এশিয়ান ও অলিম্পিক গেমসেও তাদের সোনা জেতার কৃতিত্ব রয়েছে। সূতরাং ঢাকায় এশিয়া কাপ হবে জমজমাট। এত বড় আয়োজন মাঠে নামার আগেই হকি ফেডারেশনের নির্বাচন। তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছে। ২৭ আগস্ট নির্বাচন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনেক আগেই নির্বাচনী প্রচারে নেমে গেছেন। এটা হবেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নির্বাচনী ফল আবার অনেকে মেনে নিতে পারেন না বলে পরবর্তীতে ফেডারেশন অশান্ত হয়ে পড়ে। কর্মকর্তারা বলছেন নির্বাচনে হট্টগোল হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু অতীতে হকিতে কি ঘটেছে তা তো কেউ ভুলে যায়নি। দুই প্যানেলে বিভক্ত হয়ে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ জন্য তো যত ভয়। যাক নির্বাচনী উত্তেজনার জন্য বাংলাদেশের আবার প্রস্তুতি থেমে নেই। জুন থেকেই মাহবুব হারুনের তত্ত্বাবধানে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। দলের শক্তির কথা ভেবে রাসেল মাহমুদ জিমিকে ক্যাম্পে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। খেলোয়াড়রাও বলছেন ফেডারেশনের নির্বাচনের প্রভাব তাদের ওপর পড়ছে না। যাক না পড়লেই ভালো। কারণ কম হলেও হকিতে দুষ্টচক্র আত্মগোপন করে আছে। যাদের কাজই হচ্ছে হকিকে অযথা অশান্ত করে তোলা।

ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়রা নিজেদের পারফরম্যান্স যাচাই করতে চীন যাচ্ছে ৩ আগস্ট। ৮ প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেবে বাংলাদেশ হকি দল। ১৯ আগস্ট দেশে ফেরার কথা জাতীয় দলের। সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম কিসমত জানান চীনে যাবে ৩০ সদস্য দল। এখান থেকেই এশিয়া কাপে চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষিত হবে।

এদিকে এশিয়া কাপ আরেকদিকে নির্বাচনী প্রস্তুতি। হকিতে ব্যস্ত সময় পাড় হচ্ছে। লক্ষ্য রাখতে হবে কোনো অপশক্তি যেন এই সময়ে যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে। সচেতন মহল এশিয়া কাপের আগে নির্বাচন শিডিউল করায় বিরক্ত। তাদের কথা অনেক ফেডারেশনে তো বছরের পর বছর নির্বাচন হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে যদি এশিয়া কাপের পর হকিতে নির্বাচন হতো তাহলে কি ক্রীড়াঙ্গনে গণতন্ত্র শেষ হয়ে যেত। যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে এশিয়া কাপের ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যাক তফসিল যখন ঘোষণা হয়েছে তখন নির্বাচন হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সতর্কভাবেই এগুতে হবে।

সর্বশেষ খবর