৪০০ মিটার স্প্রিন্টে তিনিই ছিলেন ফেবারিট। দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েড ফন নিকার্ক সবার ধারণাকে স্বচ্ছ রেখেই সোনা জিতেছেন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে। সোনা জিতলেও বিতর্ক সঙ্গী হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকান স্প্রিন্টারের। তবে সেটা নিষিদ্ধ মাদক নেওয়ার অভিযোগ নয়। তারই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বতসোয়ানার আইজাক ম্যাকওয়ালাকে দৌড়াতে না দেওয়ায় বিতর্ক উসকে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। ছোঁয়াচে ‘নরোভাইরাস’-এ আক্রান্ত হওয়ায় ম্যাকওয়ালাকে ৪০০ মিটারের ফাইনালে ট্রাকে দৌড়াতে দেওয়া হয়নি। এতেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বতসোয়ানা অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন প্রতিবাদ জানায়। ফলে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ২০০ মিটার স্প্রিন্টে দৌড়ানোর অনুমতি দেয় ম্যাকওয়ালাকে। তবে ম্যাকওয়ালা ২০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিয়েছেন অন্যভাবে দৌড়ে। তিনি চূড়ান্তপর্বে জায়গা নিয়েছেন একলা দৌড়ে। গতকাল রাতে ২০০ মিটার স্প্রিন্টের চূড়ান্ত দৌড় হয়ে গেছে। বিশ্বও জেনে গেছে মাইকেল জনসনের পাশে কি নাম লিখেছেন নিকার্ক? না, ৪০০ মিটার স্প্রিন্টের বিতর্ককে আরও এক প্রস্থ উসকে দিয়ে নিকার্ককে বিস্মিত করেছেন ম্যাকওয়ালা। যেমনি উসাইন বোল্টকে বিস্মিত করেছিলেন জাস্টিন গ্যাটলিন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে। মহিলাদের ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতে নিয়েছেন মার্কিন সুন্দরী ফিলিস ফ্রান্সিস। অ্যাথলেটিক্স প্রেমীদের বিস্মিত করে পুরুষদের ৪০০ মিটার হার্ডলসে সোনা জিতেছেন নরওয়ের হার্ডলার কার্স্টেন ওয়ারহোম। ১৯৯৫ সালে গুটেনবার্গে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ ও ৪০০ মিটারে সোনা ডাবল জিতেছিলেন মাইকেল জনসন। গত ২২ বছর ধরে রেকর্ডটি অক্ষত ছিল। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে জনসনের ৪০০ মিটার স্প্রিন্টের রেকর্ড ভেঙে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েন ফন ওয়েড নিকার্ক। এবার তার নামের পাশে চিরস্থায়ী হতেই প্রস্তুত হয়ে আসেন লন্ডন। ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট জিতলেও নিকার্কের জন্য ২০০ মিটার স্প্রিন্ট কঠিনই হবে। কারণ সেমিফাইনালে ম্যাকওয়ালা টার্গেটের চেয়ে কম সময়ে দৌড়েছেন। চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা নিতে ম্যাকওয়ালার বেঞ্চমার্ক ছিল ২০.৫৩ সেকেন্ড। সেটার চেয়ে অনেক কম সময় নিয়ে ২০.২০ সেকেন্ড ফাইনালে জায়গা নেন বতসোয়ানার স্প্রিন্টার। ২০০ মিটারে বছরের সেরা টাইমিং কিন্তু আবার ম্যাকওয়ালারই। নিকার্কের সময় লেগেছে ২০.২৮ সেকেন্ড।