শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

নিকার্ককে কাঁদিয়ে গুলিয়েভের ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক

নিকার্ককে কাঁদিয়ে গুলিয়েভের ইতিহাস

বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশীপে ২০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতে উত্ফুল্ল তুরস্কের রামিল গুলিয়েভ —এএফপি

সবার নজর ছিল ওয়েড ফন নিকার্কের দিকে। অ্যাথলেটপ্রেমীরা অপেক্ষায় ছিলেন আরও একটি ইতিহাসের সাক্ষী হতে। ২২ বছর আগে ১৯৯৫ সালে গুটেনবার্গে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে একমাত্র স্প্রিন্টার হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল জনসন ২০০ ও ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতেছিলেন। এরপর গত দুই দশকে উসাইন বোল্ট, অ্যালেন জনসনদের মতো অনেক বিশ্বখ্যাত স্প্রিন্টার এসেছেন, কিন্তু ২০০ ও ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে ডাবল জিততে পারেননি কেউ। এবার সেই সম্ভাবনা নিয়ে লন্ডন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েড ফন নিকার্ক। ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতে স্বপ্ন পূরণের সেই সম্ভাবনাকে জাগিয়েও রেখেছিলেন। ২০০ মিটার স্প্রিন্টে বোল্ট না থাকায় নিকার্কই ছিলেন ফেবারিট। ছিলেন বতসোয়ানার আলোচিত স্প্রিন্টার ম্যাকওয়ালা। দুই আফ্রিকানের কেউই সোনা জিততে পারেননি। স্বপ্ন পূরণের ম্যাচে নিকার্ক জিতেছেন রুপা এবং ম্যাকওয়ালা শেষ করেছেন পঞ্চম হয়ে। নিকার্কের ডাবল অর্জনের স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে অচেনা, অখ্যাত তুরস্কের আজারবাইজানীয় বংশোদ্ভূত রামিল গুলিয়েভ ২০.০৯ সেকেন্ডে সোনা জিতে রচনা করেছেন ইতিহাস। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটার স্প্রিন্টে তুরস্কের এটাই প্রথম সোনা। রুপা জয়ী নিকার্কের সময় লেগেছে ২০.১১ সেকেন্ড এবং ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগোর জেরেমি রিচার্ডস ব্রোঞ্জ পেয়েছেন সেকেন্ডের হাজার ভাগের একভাগ বেশি সময় নিয়ে।

২০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জয়ী তুরস্কের রামিল গুলিয়েভের জন্ম মধ্য এশিয়ার দেশ আজারবাইজানে। তিনি তুরস্কের নাগরিকত্ব পান ২০১১ সালে। দেশটি খেলার সুযোগ পায় ২০১৩ সালে। এই প্রথম কোনো বড় মানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন গুলিয়েভ। আর অংশ নিয়েই বাজিমাত করেন ২৭ বছর বয়স্ক অ্যাথলেট। নিকার্ককে পেছনে ফেলে সোনা জিতে এতটাই উত্ফুল্ল ছিলেন যে, আনন্দের আতিশয্যে ল্যাপ অব অনারে তুরস্কের সঙ্গে জন্মভূমি আজারবাইজানের পতাকাও জড়িয়ে নেন শরীরে। সোনা জেতায় বিশ্ব অবাক হলেও গুলিয়েভ হননি। তাই সোনা জিতে বলেন, ‘সত্যি বলতে এটা কোনো চমক নয়। আবার এটাও ঠিক সত্যি বলে মনেও হচ্ছে না। আমি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, ভাবতেই খুশি লাগছে।’  লন্ডন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ এবার বেশ কয়েকটি অঘটনের জন্ম দিয়েছে। শুরুতেই আসবে পুরুষদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টের কথা। সর্বকালের সেরা স্প্রিন্টার উসাইন বোল্টের কথা। ক্যারিয়ারের শেষ ১০০ মিটার স্প্রিন্টার দৌড়ে ছিলেন জ্যামাইকান স্প্রিন্টার। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ স্প্রিন্ট শেষ করেন তৃতীয় হয়ে। ২০০৮ সাল থেকে ৮টি অলিম্পিক ও ১১টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সোনা জয়ী বোল্টকে বিস্মিত করে সোনা জিতে নেন মার্কিন স্প্রিন্টার জাস্টিন গ্যাটলিন। একই রকম অঘটনের জন্ম দেয় মহিলাদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টও। আইভরি কোস্টের তা লু ছিলেন ফেবারিট। কিন্তু তাকে বিস্মিত করে সোনা জিতে নেন মার্কিন স্প্রিন্টার টরি বোওয়ি।

সর্বশেষ খবর