অক্টোবরে ঢাকা এশিয়া কাপ হকির উৎসব। নভেম্বরে আবার আরচারির আন্তর্জাতিক বড় আসর। যা বাংলাদেশে কখনো হয়নি। নভেম্বরের ২৪ তারিখ থেকে ঢাকায় ৭ দিনব্যাপী এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হবে। কিছুদিন আগে ঢাকায় ইসলামি সলিডারিটি আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ হয়। তবে দেশের অভিজ্ঞ সংগঠক আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপলের প্রচেষ্টায় অনেক আগেই নিশ্চিত হয় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এই আসরে বিশ্বমানের পুরুষ ও মহিলা আরচাররা অংশ নেবেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল চপলের সঙ্গে আলাপ করা হলে তিনি জানান নভেম্বরে হলেও এত বড় আয়োজনকে সফল করে তুলতে আমরা এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। ২২টি দেশ ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছে তারা অংশ নেবে। আরও তিনটি দেশ এন্টি পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে। স্বাগতিক বাংলাদেশ তো আছেই ভুটান, চীন, চাইনিজ তাইপে, হংকং, ইরাক, ভারত, জাপান, কাজাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, কুয়েত, কিরগিজস্তান, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড তাজিকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, ইরান, আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের অংশ নেওয়া নিশ্চিত বলেই জানান চপল। এ ছাড়া লাওস, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার মৌখিকভাবে জানিয়েছে তারা টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। দক্ষ সংঠকের হাতে পড়লে অচেনা খেলাও যে পরিচিত হয়ে উঠে তার বড় উদাহরণ আরচারি। চপলের হাত ধরেই এই তীর-ধনুক খেলার যাত্রা বাংলাদেশের। কিন্তু অল্প দিনেই এ খেলা শুধু জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেনি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদকও জিতেছে বাংলাদেশ। এতগুলোর দেশের অনেক প্রতিযোগী ও সংঠকরা আসবেন। তাই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন হবে ব্যয়বহুল। এ নিয়ে মোটেও বিচলিত নন আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চপল। তিনি বলেন, বেশ কটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সুতরাং স্পন্সরশিপে বেগ পেতে হবে না। তা ছাড়া সরকারও নিশ্চয় এগিয়ে আসবে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ সফল হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরচারির ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা যাবে আশা রাখি। বাংলাদেশে এই প্রথম আরচারির এত বড় উৎসব হচ্ছে। তাই চপল আশাবাদী এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপকে ঘিরে নতুন প্রাণের সঞ্চয় হবে। দেশের ১ নম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে এই আসর হবে। নতুন রূপে সাজানো হবে স্টেডিয়ামকে। তাই প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটবে বলে চপল জানান।.