রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাংলাদেশে এসে রোমাঞ্চিত স্মিথ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশে এসে রোমাঞ্চিত স্মিথ

আগের দিন রাতে ঢাকায় আসে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে স্মিথ ও ওয়ার্নাররা মাঠ পরিদর্শন করেন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ক্যারিয়ার শুরু শেন ওয়ার্নকে দেখে। ওয়ার্ন সে সময় বিশ্ব সেরা লেগ স্পিনার। লিজেন্ডারি ক্রিকেটারের ঘূর্ণিতে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের তখন ত্রাহিকুল অবস্থা। স্বদেশি ওয়ার্নের পারফরম্যান্স তাকে উদ্দীপ্ত করেছিল লেগ স্পিনার হিসেবে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করার। ২০১০ সালে লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্টিভ স্মিথের অভিষেক হয়েছিল লেগ স্পিনার হিসেবে। অভিষেক ব্যাটিং করেছিলেন ৮ নম্বর পজিশনে। প্রথম ইনিংসে বোলিং না করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট নিয়েছিলেন তিনটি। ক্যারিয়ারের শুরুতে লেগ স্পিনার স্মিথ এখন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এবং দল ও বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। ৫৪ টেস্টে যার রান ৬১.০৫ গড়ে ৫২৫১। সেঞ্চুরি ২০টি। স্মিথের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া এখন ঢাকায়। পরশু রাতে দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজ খেলতে দলটি ঢাকায় পা রেখেছে। গতকাল মিরপুরের মিডিয়ার মুখোমুখিতে আসন্ন সিরিজ নিয়ে কথা বলেন। দলের টার্গেটের কথা জানান। পরিষ্কার করে জানিয়েছেন সিরিজে তিনি কোনো দলকেই ফেবারিট মানছেন না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এসে আমরা রোমাঞ্চিত।

এশিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স আহামরি নয়। সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ২০০৬ সালে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে। সেবার জিতেই দেশে ফিরেছিলেন পন্টিং, গিলক্রিস্ট, ওয়ার্ন, ম্যাকগিল, ম্যাকগ্রারা। এ ছাড়া গত ১০ বছরে উপমহাদেশে সাকুল্যে দুটি টেস্ট জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ কেবল একটি। এবার সেসব দুঃস্বপ্নগুলোকে পেছনে ফেলে সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরতে চান অসি অধিনায়ক স্মিথ। সাফল্যের হাসি হেসেই দেশে ফেরার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে অসি অধিনায়ক অতীতের রেকর্ডকে আরও উন্নতি করার কথা বলেন, ‘উপমহাদেশে আমাদের রেকর্ড খুব ভালো নয়। এবার সেগুলোতে পরিবর্তন আনার সুযোগ রয়েছে। আমরা বছরের শুরুতে ভারতে ভালো করেছি। এখানে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। ভারতের মাটিতে যে শিক্ষা আমরা পেয়েছি, আশা করি বাংলাদেশ সফরে সেই দক্ষতা কাজে লাগাতে পারব।’ ২০০৬ সালে সর্বশেষ সিরিজে দুই দলের কোনো ক্রিকেটারই এখন নেই। দুই দলের সদস্যরা এই প্রথম পরস্পরের প্রতিপক্ষ হিসেবে টেস্ট খেলবেন। প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে সমীহ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে এসে ভালো লাগছে। সফরটি নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত। আমি মনে করি সফরটি খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। গত এক বছর ধরে বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে ভালো ক্রিকেট খেলছে। আশা করি, সিরিজ চলাকালীন আবহাওয়া ভালো থাকবে এবং আমরা সিরিজে ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।’ ১৭ বছর আগে অভিষেক হওয়ার পর কলম্বোতে বাংলাদেশ ১০০ নম্বর টেস্ট খেলেছে। এর মধ্যে প্রতিপক্ষ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এটা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছেন না অসি অধিনায়ক স্মিথ, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলা একটি রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। গত ১৭ বছরে দুই দল মাত্র চারটি টেস্ট খেলেছে, এটা জেনে আমি বিস্মিত।’ শক্তিমত্তা, পরিসংখ্যান ও ইতিহাস-ঐতিহ্যে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। র্যাংকিংয়ের বিচারে সিরিজে ফেবারিটও স্মিথরা। তারপরও মুশফিকদের সমীহ করে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস দারুণ একটি সিরিজ হতে যাচ্ছে।

 ঘরের মাঠে বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। নিশ্চিত করে কোনো দলকেই ফেবারিট বলব না। শুধু এটুকু বলব আমাদের আস্থা নিজেদের স্কিলের ওপর।’

দুই দলের পরিসংখ্যানের বিচারে ব্যবধান ৪-০। যার তিনটির ব্যবধান ইনিংস হার ও এবং একটি শুধু উইকেটে। কিন্তু গত এক বছরে উন্নতি করা বাংলাদেশকে এখন আর খাটো করে দেখার নেই। সেটা মাথায় রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।

আমি ফেভারিট বেছে নেব না। আমাদের নিজেদের স্কিলের ওপর আস্থা রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর