মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

কোনো আক্ষেপ নেই লেহম্যানের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কোনো আক্ষেপ নেই লেহম্যানের

অস্ট্রেলিয়ার কোচ ড্যারেন লেহম্যান

তিন দিনের একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। এজন্য প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যু ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও কোচ ড্যারেন লেহম্যান। কিন্তু মাঠ খেলার উপযুক্ত নয়। তাই প্রস্তুতি ম্যাচের চেয়ে একাডেমি মাঠে অনুশীলনকেই গুরুত্ব দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রস্তুতি ম্যাচ না হলেও এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই কোচ লেহম্যানের। তিনি বলেন, ‘অনুশীলন ম্যাচটি যাতে মাঠে গড়ায় এজন্য দারুণ চেষ্টা করেছে বিসিবি। কিন্তু বৃষ্টি তো সহায়তা করছে না! আমরা বুঝতে পারছি, বৃষ্টির জন্য আসলে এখানকার সাধারণ মানুষেরও অনেক সমস্যা হচ্ছে। তবে ঢাকায় এসে সব রকম সুযোগ-সুবিধা পেয়েছি আমরা।’

বাংলাদেশে দুটি টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমটি মিরপুরে এবং দ্বিতীয়টি চট্টগ্রামে। এখন প্রথম ম্যাচের কথাই ভাবছে অসিরা। লেহম্যানের বিশ্বাস শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট ভালোই হবে। অসি কোচ বলেন, ‘মিরপুরের উইকেট এখনো দেখিনি। সাধারণত এখানকার উইকেট ভালোই হয়। আউট ফিল্ডও ভালোই হওয়ার কথা। বৃষ্টির পানি জমে থাকার কথা নয়। সত্যিই এজন্য তারা অনেক পরিশ্রম করেছেন। আশা করি এখানকার উইকেট শুকনো থাকবে এবং দারুণ একটি টেস্ট ম্যাচ হবে।’

বাংলাদেশে খেলা মানেই স্পিনারদের জয়জয়কার। স্পিনাররাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। অস্ট্রেলিয়া নাথান লিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছে অ্যাস্টিন আগার ও তরুণ স্বেপসনকে। আগার সম্পর্কে লেহম্যান বলেন, ‘আগারের লাইন-লেন্থ খুবই চমত্কার। গত বছর শেফিল্ড শিল্ডে সে দুর্দান্ত বোলিং করেছে। তবে লেগ স্পিনে তরুণ বোলার স্বেপসন ভালো করতে পারে। তবে সব স্পিনারদের জন্যই একটা দারুণ সময়। অ্যাস্টন দারুণ লড়াই করতে জানে। সে চমত্কার ফিল্ডিংও করে। তাকে নিয়ে আমরা সবাই ভীষণ খুশি। অলরাউন্ডার হিসেবেও ভালো করতে পারে সে।’

তরুণ স্পিনার স্বেপসন সম্পর্কে লেহম্যানের দাবি, ‘কুইন্সল্যান্ডের তরুণ লেগ স্পিনার স্বেপসন। সে দারুণ স্পিন করে থাকে। ঘরোয়া আসরে দুর্দান্ত বোলিং করার কারণেই তাকে দলের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। সে কেমন করে সেটা নির্ভর করবে এখানকার উইকেটের ওপর।’

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক বার বার বলেছেন, বাংলাদেশ সিরিজ তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। এবার একই কথা লেহম্যানের কণ্ঠেও, ‘তাদের (বাংলাদেশের) বেশ কিছু ভালো মানের ব্যাটসম্যান আছে। ঘরের মাঠে তাদের রেকর্ডও দারুণ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তারা এখানে দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন। আমাদের টার্গেট থাকবে নতুন বলে দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়া। এই উইকেটে স্পিন ও রিভার্স সুইং ভালো হওয়ার কথা। তাদের ব্যাটিং গভীরতা দারুণ। বিশেষ করে ঘরের মাঠে। আমরা ভারত সফরে ভালো করেছিলাম। তারপরেও সিরিজে হেরেছি। তবে দেশের বাইরে সিরিজ জেতা চ্যালেঞ্জই বটে।’

বাংলাদেশের উইকেটে অনেক ম্যাচ তিন দিনেই শেষ হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে তিন দিনেই জয় পেয়েছিলেন টাইগাররা। তাই এমন প্রস্তুতিও নিয়ে এসেছেন অসি ক্রিকেটাররা। লেহম্যান বলেন, ‘ভারতেও তিন দিনের ম্যাচ হয়েছিল। তবে কখনো কখনো স্বল্প দৈর্ঘ্যের ম্যাচ হলে তা খুবই উপভোগ্য হয়। তাই সে প্রস্তুতিও আমাদের আছে।’

সর্বশেষ খবর