মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

শুরুতেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শুরুতেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সিইও তৈয়ব ইকরাম

সেই ১৯৮৫ সালে সর্বশেষ এশিয়া কাপ হকি আয়োজন করেছে ঢাকা। ওইটা ছিল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর। এরপর পেরিয়ে গেছে ৩২ বছর। এশিয়া কাপ আরও সাতবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মালয়েশিয়াতেই হয়েছে চারবার। দুইবার হয়েছে ভারতে। একবার জাপানে। প্রথম এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। দীর্ঘ ৩২ বছর পর অবশেষে এশিয়া কাপ হকি ফিরছে ঢাকায়। সিদ্ধান্তটা আগেই হয়েছিল। এমনকি গ্রুপিংটাও হয়ে গিয়েছিল। এবার ঘোষণা করা হলো ফিকশ্চার। উন্মোচন করা হলো লোগো।

গতকাল ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে এশিয়া হকি ফেডারেশন, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন ও স্পন্সর প্রতিষ্ঠান হিরো মটোকর্পের যৌথ আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে ১১ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ হকির ফিকশ্চার ঘোষণা করা হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৈয়ব ইকরাম, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, বিবিপি, এনডিসি, এসিএসসি, হিরো মটোকর্পের প্রতিনিধি জে. নারায়ণ, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাচন হঠাৎ করেই স্থগিত হওয়ায় এবার এশিয়া কাপ হকি নিয়েই ব্যস্ত কর্তারা। গতকাল ফিকশ্চার ঘোষণা এবং লোগো উন্মোচনের মধ্য দিয়ে বেশ জোরেশোরে বইতে শুরু করেছে এশিয়া কাপ হকির বাতাস। ১১ অক্টোবর মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে পর্দা উঠবে ৮ জাতির এ টুর্নামেন্টের। ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে ভারত, পাকিস্তান ও জাপানের। ‘বি’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া মুখোমুখি হবে মালয়েশিয়া, চীন ও ওমানের।

সংবাদ সম্মেলনে তৈয়ব ইকরাম ঢাকায় এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। তার মতে, এর মধ্য দিয়ে এই দেশের হকি অনেক দূর এগিয়ে যাবে। সব প্রস্তুতি দেখে তিনি মনে করেন, দারুণ একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বাংলাদেশ। আর এই টুর্নামেন্ট ভবিষ্যতের জন্য দ্বার উন্মোচন করে দিবে। এশিয়ান হকি ফেডারেশনের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মনে করেন, ভবিষ্যতে আরও অনেক টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে ঢাকা। এর মধ্যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন তিনি। বাংলাদেশের হকির উন্নয়নে কাজ করার আশ্বাস দিয়ে তৈয়ব ইকরাম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে হাই পারফরম্যান্স কর্মসূচিতে সহযোগিতা করব। স্কুল হকির উন্নতির জন্যও সহযোগিতা দেওয়া হবে। আমাদের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কোচ ও আম্পয়ারদের কোচিং কোর্স করানো হবে।’ এছাড়াও বাংলাদেশকে ক্রীড়া সামগ্রী দিবে এশিয়ান হকি ফেডারেশন।

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি যে, দীর্ঘ ৩২ বছর পর আবার এশিয়া কাপ আয়োজন করতে যাচ্ছি। এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সঙ্গে যৌথভাবে এ টুর্নামেন্ট ভালোভাবে আয়োজন করতে পারবো বলে আশা করি। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আমরা স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপনসহ আরও অনেক কাজ করছি। আমরা আশা করছি, টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেবেন।’ এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান হিরো মটোকর্পের নির্বাহী উপদেষ্টা জে. নারায়ণ।

সর্বশেষ খবর