বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘সেঞ্চুরির চেয়েও দলের জয়টা গুরুত্বপূর্ণ’

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে

‘সেঞ্চুরির চেয়েও দলের জয়টা গুরুত্বপূর্ণ’

মিরপুরের পর চট্টগ্রামেও সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কের ম্যাজিকেল ইনিংস খেলার পর আনন্দে শূন্যে ভাসছেন অসি এ ওপেনার —এএফপি

টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেই ডেভিড ওয়ার্নার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। উপমহাদেশের মাটিতে এসেও স্বরূপেই ওয়ার্নার। মিরপুর টেস্টের পর চট্টগ্রাম টেস্টেও সেঞ্চুরি করে উপহমাদেশে টানা দুই সেঞ্চুরি করা ষষ্ঠ অস্ট্রেলীয় হলেন তিনি। কেবল বব সিম্পসন, অ্যালান বোর্ডার, ড্যামিয়েন মার্টিন, মাইক হাসি ও মাইকেল ক্লার্ক ব্যাক-টু-ব্যাক টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন এশিয়ায়। এদের মধ্যে মাইক হাসি দুইবার এমন রেকর্ড গড়েছেন।

টানা দুটি সেঞ্চুরি করার পরও অবশ্য খুবই বিনীয় ওয়ার্নার। তিনি বলছেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত যে এটা করতে পেরেছি। তবে আমার সেঞ্চুরির চেয়েও দলের জয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ ডেভিড ওয়ার্নার মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবেই খ্যাত। টেস্টেও তার সেঞ্চুরিগুলোতে সাধারণত স্ট্রাইকরেট হয় আশির উপরে। তার ৬৬ টেস্ট ম্যাচের ক্যারিয়ারে আগের ১৯টা সেঞ্চুরির মধ্যে সবচেয়ে ধীরগতির ছিল ২০১৪ সালে অ্যাডিলেডে। সেবার তিনি ১৬৬ বল খেলে করেছিলেন ১০২ রান। স্ট্রাইকরেট ছিল ৬১.৪৪। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার বাংলাদেশের বিপক্ষেই নিজের ধীর গতির সেঞ্চুরিটা করলেন ওয়ার্নার। চট্টগ্রাম টেস্টে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি ২৩৪ বলে। স্ট্রাইকরেট ৫২.৫৬। কেবল তাই নয়। বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারির দিক থেকেও এই সেঞ্চুরিটাই সবচেয়ে নিরামিশ। এর আগে তিনি ১০১ রানের সেঞ্চুরিতেও ১৬টা চার মেরেছেন। সর্বোচ্চ ছক্কা আছে এক ইনিংসে পাঁচটা। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সেঞ্চুরিতে মাত্র ৭টা চার মেরেছেন তিনি! ছক্কা তো নেই। ওয়ার্নারের এমন নিখাঁদ টেস্ট রূপ অবাক হওয়ার মতোই। এর অবশ্য সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ওয়ার্নার। ‘এটা আসলে ফিল্ডারদের পজিশনের কারণেই হয়েছে। তারা (বাংলাদেশ) চাইছিল বাউন্ডারি আটকে দিতে। কম রানে বেঁধে রেখে উইকেট থেকেই আউট করতে চাইছিল। এই চ্যালেঞ্জটা আমার জন্য সহজ ছিল না। তবে আমি করে দেখিয়েছি।’ ক্যারিয়ারে ২০তম টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন ওয়ার্নার। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের সমান। কোনটাকে সেরা বলবেন ওয়ার্নার। তিনি বলছেন, ‘আমি সব সময়ই চেয়েছি টেস্টে লম্বা ইনিংস খেলতে। সেদিক থেকে এটা অবশ্যই সেরা।’ অস্ট্রেলিয়াকে খুব খারাপ অবস্থা থেকে চমৎকার একটা অবস্থায় নিয়ে গেছেন ওয়ার্নার।

 কিন্তু এতটুকুতেই কী হবে! ওয়ার্নারের মতে, আজ অন্তত ১০০ রানের লিড নিতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তাহলেই হয়ত টেস্ট ম্যাচের সুতোটা থাকবে স্মিথবাহিনীর হাতে।

সর্বশেষ খবর