জাতীয় ক্রিকেটের ১৯ নম্বর আসরে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করলেন এনামুল হক বিজয়। এটা তার প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারেও প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। জাতীয় দলের এক সময়কার নিয়মিত সদস্য এনামুল এখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই সময় কাটাচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন শোনা গিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যাওয়া হয়নি। না যাওয়ার কষ্টে নয়, ভালো খেলার তাগিদেই ২১৬ রানের ইনিংস খেলেন খুলনার হয়ে রংপুরের বিপক্ষে। ডাবল সেঞ্চুরিয়ান এনামুলের বিশ্বাস আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে ভালো করবে টাইগাররা। তবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের অভাব বোধ করবে দল। —ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। কেমন লাগছে?
এনামুল বিজয়: ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছি। ভালো লাগাই স্বাভাবিক। মাশরাফি ভাই, রাজ্জাক ভাইয়ের সামনে ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারার আনন্দই আলাদা।
শোনা গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সুযোগ পাননি। এই সুযোগ না পাওয়াই কি আপনাকে ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস খেলতে উদ্বুদ্ধ করেছে?
এনামুল বিজয়: না। তেমন কিছু নয়। আমি সব সময়ই চেষ্টা করি ভালো খেলার। কারণ রান করাই আমার কাজ। এর আগেও ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু করতে পারিনি। এবার সুযোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি।
বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ আফ্রিকায়। বিপরীত কন্ডিশনে দল কতটা সাফল্য পাবে মনে করেন?
এনামুল বিজয়: আমরা এখন ভালো ক্রিকেট খেলছি। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের কন্ডিশনের মিল নেই। আমরা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে ভালো খেলেছি। এই ভালো খেলা গোটা দলকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এছাড়াও আমাদের দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা ভালো খেলছেন। সুতরাং আমি ব্যক্তিগতভাবে আশাবাদী দল ভালো খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
সাকিব আল হাসান বিশ্রামে। তার অভাব কতটা বোধ করবে দল?
এনামুল বিজয়: সাকিব ভাই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তিনি শুধু খেললেই দল সাফল্য পায়, সেটা নয়। তার উপস্থিতি দলকে আত্মবিশ্বাস জোগায়। সাজঘরে সাকিব ভাই থাকলে গোটা দলের চেহারা পাল্টে যায়। এমন একজন বিশ্বসেরা ক্রিকেটারের অভাব অবশ্যই অনুভব করবে দল। তারপরও আমার বিশ্বাস, আমাদের দল ভালো করবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটগুলো পেসারদের সহায়তা করে। ব্যাটসম্যানদের রান করা কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে কোন কোন ক্রিকেটারের দিকে ফোকাস থাকবে...
এনামুল বিজয়: দেখুন গত দুই-তিন বছরে আমরা সাফল্য পেয়েছি একটি দল হিসেবে খেলে। এবারও দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা দল হিসেবেই খেলব। এটা সত্যি আফ্রিকায় পেসাররা বাড়তি সহায়তা পেয়ে থাকেন। আমিও তাকিয়ে আছি আমাদের পেস বোলারদের দিকে। আমার বিশ্বাস তারা আমাদের হতাশ করবেন না।