শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

এজিএমের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এজিএমের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিসিবি

সময় ঘনিয়ে আসছে। এজিএম ও ইজিএম করার প্রস্তুতি পুরোপুরি নিয়ে ফেলেছে বিসিবি। যদিও এজিএম ও ইজিএম না করার জন্য আইনি নোটিস

পেয়েছে বিসিবি। তবে সেটা নিয়ে চিন্তিত নয়। বিসিবির সাবেক পরিচালক মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরীর আইনজীবীর পাঠানো উকিল নোটিসের কোনো জবাব দিবে না বিসিবি। শুধু তাই নয়, সৃষ্ট সমস্যার জন্য বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীকে দোষারোপ করেছেন বিসিবির  বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। শুধু তাই নয় ২ অক্টোবর নির্ধারিত তারিখেই এজিএম ও ইজিএম করবে বিসিবি বলতেও দ্বিধা করেননি তিনি। গত ২৬ জুলাই বিসিবির গঠনতন্ত্র-সংক্রান্ত এক মামলার রায় প্রকাশিত হয়। তার উপর ভিত্তি করে ১৬ সেপ্টেম্বর সাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিস পাঠান বিসিবির সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী। ২০১৩-এর বিসিবি নির্বাচন এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে অবৈধ দাবি করে এজিএম ও ইজিএম আয়োজনের প্রস্তুতিসহ বিসিবির সব কার্যক্রম বন্ধ করতে বলা হয়েছে ওই নোটিসে। শুধু তাই নয়, বিসিবির সাবেক সভাপতি ও বারিধারা ড্যাজলার্সের কাউন্সিলর সাবের হোসেন চৌধুরী ২০১২ সালে সংশোধিত বিসিবির গঠনতন্ত্র এবং সে অনুযায়ী করা কাউন্সিলর তালিকাকে অবৈধ উল্লেখ করে বিসিবির বর্তমান সভাপতিকে চিঠি লিখেছেন, আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি বর্তমান কাউন্সিলরদের দিয়ে এজিএম ও ইজিএম না করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘সাবের হোসেন চৌধুরীতো ২০১২ সালের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলর হয়েছিলেন। নির্বাচনও করতে চেয়েছিলেন। হঠাৎ করে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। গঠনতন্ত্র যদি না মানেন, তাহলে কাউন্সিলর হয়েছিলেন কেন? শুধু তাই নয়, সাবের হোসেন চৌধুরী কেন এজিএম করা হচ্ছে না, এটা জানতে চেয়েও আমাকে চিঠি দিয়েছিলেন।’

আইনি জটিলতায় থাকলেও বিসিবি তার নির্দিষ্ট পথেই হাঁটবে বলে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন। নাজমু হাসান পাপন অন্য ফেডারেশনের নির্বাচনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেও এবার ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন নিয়ে তিনি জটিলতায় পড়ে গেছেন। শেষ পর্যন্ত বোর্ডের অবস্থা কি দাঁড়ায় সেটাই এখন দেখবার বিষয়।

সর্বশেষ খবর