পচেফস্ট্রোমে ২০০৩ সালে টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। আফ্রিকান ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত এটাই একমাত্র টেস্ট এবং দ্বিতীয় শুরু হবে আজ। টেস্টকে ঘিরে গোটা দেশ এখন অপেক্ষায়। অপেক্ষায় সেরা একাদশে কোন ১১ জন খেলছেন জানতে। অধিনায়ক মুশফিক কি শুধুই ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলবেন, না উইকেটের পেছনটাও আগলাবেন? কিংবা ব্যাটিং-বোলিংয়ে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি কাকে দিয়ে পোষাবেন টিম ম্যানেজমেন্ট, অথবা পেসার তিনজন, না চারজন খেলবেন? এমন হাজারও প্রশ্ন ক্রিকেটপ্রেমীদের। টিম ম্যানেজমেন্ট একাদশ নিয়ে সরাসরি কিছু না বলে শুধু জানিয়েছেন, খেলার দিন সকালে উইকেট দেখে একাদশ সাজানো হবে। তবে একাদশ সাজাতে টিম ম্যানেজমেন্টের ঘাম ঝরাতে হবে-এ নিয়ে সন্দেহ নেই।
ছোট্ট শহর পচেফস্ট্রোম। ‘সিটি অব এডুকেশন’ নামে পরিচিত শহরটির একমাত্র উইকেট ভেন্যুতে ১৫ বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট হচ্ছে। তবে ওয়ানডে হয় নিয়মিত। ১৮ ওয়ানডের দুটি খেলেছে বাংলাদেশ এবং নিয়মিতই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট হয় এখানে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন শীত শেষ করে গ্রীষ্ম আসি আসি করছে। সূর্যের প্রখরতা তীব্র। আবার বাতাসও ঠাণ্ডা। এমন পরিবেশে পেসাররা বাড়তি সহায়তা পাবে-এটাই নিশ্চিত। এমন পরিবেশে উইকেটও সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত থাকবে, ভেবে নেওয়াই যায়। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর থেকে হারের স্বাদ নিয়েই ফিরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও টেস্ট সিরিজ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। এবার প্রতিশোধের নেশায় হয়তো হার্ড, বাউন্সি ও সবুজ ঘাসের উইকেটই বানাবে স্বাগতিকরা। এমন উইকেটে মুশফিকবাহিনীর একাদশে থাকছেন কারা? তিন পেসার হলে মুস্তাফিজের সঙ্গী হবে কোনো দুজন? সুইং বোলার শুভাশীষ রায়, না শফিউল ইসলাম? অথবা গতির জন্য রুবেল হোসেন ও তাসিকন আহমেদ খেলবেন? স্পিনার হিসেবে অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ, না বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম? ব্যাটিং লাইনে সাতজন কারা? তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মুশফিক, সাব্বির রহমানের সঙ্গে কি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খেলবেন?
একাদশ সাজানো নিয়ে মধুর সমস্যায় কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহেসহ টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু এটা পরিষ্কার, ২০০৩ ও ২০০৮ সালকে পেছনে ফেলে এবারই প্রথম ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।