শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
দেশে ফিরেছেন জাফররা

‘এমন কষ্ট কি ভোলা যায়’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

‘এমন কষ্ট কি ভোলা যায়’

চ্যাম্পিয়ন হতে না পারায় বাংলাদেশের যুবারা কতটা যে ব্যথিত কাল ঢাকা পৌঁছানোর পর তাদের বিমর্ষ চেহারাই বলে দিচ্ছে —বাংলাদেশ প্রতিদিন

২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফুটবলাররা সেমিফাইনালে হেরে দেশে ফিরেছিল। এবার এলো রানার্সআপ ও সর্বোচ্চ গোলদাতার ট্রফি নিয়ে। তবু কারও মুখে হাসি নেই। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমর্ষ চেহারা নিয়ে গাড়িতে উঠছিলেন সবাই। কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি বললেন, ‘ভালো লাগত যদি চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে পারতাম। নেপালের কাছে হেরেই সব শেষ হয়ে গেছে। অথচ টুর্নামেন্টে সেদিনই ছেলেরা সেরা খেলাটা খেলেছে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! প্রথম ২০ মিনিটেই আমরা পাঁচটি সহজ সুযোগ পেয়েছিলাম। কাজে লাগাতে পারিনি। খেললাম আমরা আর জিতে গেল নেপাল। এই কষ্ট ভুলি কীভাবে? ম্যাচটি অন্তত ড্র করা যেত। কিন্তু বিশ্বনাথ লালকার্ড দেখায় সেই আশাও বিলীন হয়ে যায়। প্রথম হলুদ কার্ড দেখার পরই বিশ্বনাথকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। অযথা কেন যে বিপদ ডেকে আনল বুঝতে পারলাম না। যাক এটাও ফুটবলের অংশ। এ নিয়ে কাউকে দোষী করা ঠিক হবে না।’ যাওয়ার আগে টার্গেট সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেননি রক্সি, সেখানে কিনা রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ। এটা কি প্রাপ্তি নয়? রক্সি বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয়ের পর দেশবাসী আশায় ছিল আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। কিন্তু পারলাম না। এর চেয়ে বড় ট্র্যাজেডি আর কী হতে পারে? নেপালের কাছে হারার পর সমীকরণটা কঠিন হয়ে পড়ে। শিরোপা জিততে হলে শুধু ভুটানকে হারালেই চলবে না। পরের ম্যাচের দিকে চেয়ে থাকতে হবে। ছেলেদের বলেছিলাম, পরের চিন্তা পরে। শিরোপার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে হলে তোমাদের আগে জিততেই হবে। ওরা জয় এনে দিয়েছে। ভারত যদি নেপালকে হারাত তাহলে আমরাই চ্যাম্পিয়ন। অথচ হলো উল্টোটা। ভারত টুর্নামেন্টে খুবই শক্তিশালী দল ছিল। কেন যে নেপালের বিপক্ষে এমন খেলল বুঝতে পারলাম না। তিন মিনিটেই আত্মঘাতী গোল খেয়েছে। যাক এসব ভাবলে শুধু কষ্টই বাড়বে। এখন তাজিকিস্তানে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ বাছাই পর্বের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল চূড়ান্ত পর্বে যাবে। ৩১ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত খেলা। গ্রুপে তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ রয়েছে। এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে পারলে এ মিশনেও ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী।’

অধিনায়ক টুটুল হোসেন বাদশা বলেন, ‘ভারতকে হারানোর পর শিরোপার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। এমনভাবে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি হাতছাড়া হয়ে যাবে তা ভাবতেই পারিনি। কোচ রক্সি ও ম্যানেজার বাবুভাই অনেক পরিশ্রম করেছেন। জাফর ইকবাল সত্যিই ভালো খেলেছে। চার ম্যাচে পাঁচ গোল দেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়।’ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, ‘ভালো লাগছে ঠিকই, তবে দল চ্যাম্পিয়ন হলে মনে আনন্দই থাকত অন্য রকম।’

সর্বশেষ খবর