বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

চোখ থাকবে আর্জেন্টিনার ম্যাচের দিকেই

ক্রীড়া ডেস্ক

চোখ থাকবে আর্জেন্টিনার ম্যাচের দিকেই

দুর্বল প্রতিপক্ষ পেরু। তবু মেসিদের কাছে ম্যাচটির গুরুত্ব অনেক। কারণ এই ম্যাচের ওপরই নির্ভর করছে তাদের ভাগ্য— এএফপি

লিওনেল মেসিদের আর্জেন্টিনা আগামী বছরের রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলার আশা পূরণ করতে আরও একটি কঠিন বাধার মুখোমুখি হচ্ছে আগামীকাল ভোরে। বুয়েন্স আয়ার্সে আলবেসিলেস্তরা লড়বে পেরুর বিপক্ষে। ২০১৪ সালের ফাইনালিস্টরা দুই বছর আগে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই ধুঁকছে। নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী মাঠে খেলতে পারেনি তারা। প্যারাগুয়ে ও বলিভিয়ার কাছে হার, উরুগুয়ে ও ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ড্র বিশ্বকাপ খেলাই অনিশ্চিত করে তুলেছে মেসিদের। বিশ্বসেরা আক্রমণভাগ নিয়েও বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ১৬ ম্যাচে মাত্র ১৬ গোল করেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে ব্রাজিলের গোল সংখ্যা সমান ম্যাচে ৩৮টি! আর মাত্র দুটি ম্যাচ বাকি। পেরু ও ইকুয়েডর। দুটিই আর্জেন্টিনার জন্য কঠিন ম্যাচ। পেরুর সঙ্গে আগের ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছেন মেসিরা। ইকুয়েডরের কাছে হেরেছে ২-০ গোলে। এই দুই ম্যাচে এমনকি ড্র করলেও বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হারাবে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। মেসিদের করুণ দশা দেখে ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা মারিও কেম্পেস কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘তারা (মেসি, দিবালা, ইকার্ডি, ডি মারিয়ারা) আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে তুললেই যেন ফুটবল খেলতে ভুলে যায়।’ কেম্পেস ঠিকই বলেছেন। মেসি, দিবালা, ইকার্ডি, আগুয়েরোরা মিলে লিগে ৩০টির বেশি গোল করেছেন চলতি মৌসুমে। অথচ জাতীয় দলের হয়ে এ বছর মেসি কেবল পেনাল্টি থেকে একটি গোল করেছেন। বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা যে আর্জেন্টিনার অন্য যে কোনো দলের চেয়ে বেশি, এ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না। কিন্তু বার বার কোচ বদলিয়েও নিজেদের সমস্যা দূর করতে পারছে না আলবেসিলেস্তরা। সামনের দুটো সুযোগ হারালে ১৯৭০ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অনুপস্থিত থাকতে হবে ল্যাটিন ফুটবলের পরাশক্তিদের। এমনকি আগামীকালের ম্যাচই আর্জেন্টিনার শেষ সুযোগ। এ ম্যাচ হেরে গেলে বিশ্বকাপ খেলার আশা প্রায় শেষ হয়ে যাবে মেসিদের।

এদিকে এরই মধ্যে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা ব্রাজিল আজ রাতে বলিভিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে। এ ছাড়াও ল্যাটিন অঞ্চলের বাছাই পর্বে মাঠে নামছে ভেনেজুয়েলা-উরুগুয়ে, কলম্বিয়া-প্যারাগুয়ে ও চিলি-ইকুয়েডর। উরুগুয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে, কলম্বিয়া ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে এবং পেরু ২৪ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে অবস্থান করছে। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় পঞ্চমে অবস্থান করছে আর্জেন্টিনা। চিলি ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে ছয় নম্বরে।

সর্বশেষ খবর