সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

শেষ দুই মিনিটে কপাল ভাঙল জিমিদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেষ দুই মিনিটে কপাল ভাঙল জিমিদের

চয়নের গোলে বাংলাদেশ সমতায় ফিরলেও হার এড়াতে পারেনি

পাকিস্তান ও ভারতের কাছে বাংলাদেশ হারবে। এ নিয়ে কারও সংশয় ছিল না। কিন্তু এমনভাবে বিধ্বস্ত হবে কেউ ভাবতেও পারেনি। দুটো ম্যাচে ৭+৭=১৪ গোল হজম করেছে। অথচ শুরুতে জিমিদের লড়াকু মনোভাব দেখে মনে হচ্ছিল তারা হেডে কথা বলবে না। সময় গড়াতেই দম হারিয়ে ফেলে। এরপর শুধু গোল আর গোল। স্বাগতিকদের মাঠেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গতকাল গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল জাপানের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টের আগে ৪০ মিনিটের প্রস্তুতি ম্যাচে জাপানকে ২-১ গোলে হারিয়ে ছিল। এতেই আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু গ্রুপ ম্যাচে জাপান ২-২ গোলে রুখে দেয় পাকিস্তানকে। সত্যি কথা বলতে কি সেদিন জাপান যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিল তাতে পাকিস্তান হেরে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। সুতরাং সেই জাপানের বিপক্ষে বাংলাদেশ গোলের বন্যায় ভেসে যায় কি না শঙ্কা জেগেছিল। জিমি অবশ্য দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন আমরা জাপানের বিপক্ষে ভালো খেলব। সত্যিই বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করতে হয়। আগের দুই ম্যাচে দাঁড়াতে না পারলেও টুর্নামেন্টে কাল সেরা নৈপুণ্যই প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ। তারপরও হার মেনেছে ৩-১ গোলে। ম্যাচে হারলেও খেলেছে কিন্তু জিমিরাই। জাপানের ঘাম ঝরিয়ে ছাড়ে। প্রথমে গোল করে জাপান এগিয়ে যায় ঠিকই। এরপরই শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশের ছন্দময় খেলা। ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতেন জিমিরা। নিলয়ের চমৎকার আক্রমণ। কিন্তু জাপানের রক্ষণভাগ দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দেয়। বলা যায় প্রথম ২০ মিনিট খেলা ছিল বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। ২১ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে এগিয়ে যায় জাপান। কি তা জাতো কেনজি এককভাবে কাটিয়ে গোলরক্ষক অসীমের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠান। আবশ্য এই গোলের জন্য বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে দায়ী করা যায়। একটু সতর্ক থাকলে কেনজিকে থামানো যেত। সমতায় ফিরতে অবশ্য বেশি দেরি হয়নি। ২৮ মিনিটে প্রথম পেনাল্টি কর্নার লাভ করে বাংলাদেশ। এতেই গোল। মিমো-রানার বদৌলতে চয়নের পুশে বল জালে জড়ালে সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। এরপর বাংলাদেশ কম করে হলেও ৫/৬টি গোলের সূযোগ পায়। সময় মতো হিট না করায় গোল আর হতে পারেনি। ৪০ মিনিটে জাপানের পেনাল্টি স্ট্রোকও ঠেকিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক অসীম। তবু হার ঠেকাতে পারেনি। শেষ ১০ মিনিটেই কপাল পুড়ে জিমিদের। ৫৯ মিনিটে তানাকা কেন্টা প্রচণ্ড হিটে গোল করেন। এক মিনিট পরই আবারও তার গোল। যেখানে বাংলাদেশ জিততে পারত সেখানে কি না ৩-১ গোলে হারল রক্ষণভাগের ভুলে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ভারত। এ জয়ে ভারত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো।

সর্বশেষ খবর