বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

এ যেন বাংলাদেশের ফাইনাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক


এ যেন বাংলাদেশের ফাইনাল

ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ হকি। ১৯৮৫ সালে ঢাকায় আরও একবার এই আসর হয়েছিল। তখন খেলতে হয়েছিল ঢাকা স্টেডিয়ামে ঘাসের মাঠে। ৩২ বছর পর পুরো নতুন রূপে এশিয়া কাপ। নিজস্ব ভেন্যু, টার্ফ, ফ্লাডলাইট ও ইলেকট্রনিক স্কোর বোর্ড। এমন নতুন রূপে আশা ছিল জিমিরা নতুনত্বের পরিচয় দিতে পারবেন। টুর্নামেন্টের আগে ৪০ মিনিটের প্রস্তুতি ম্যাচে জাপানকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেই আভাসও দিয়েছিল। কিন্তু গ্রুপপর্বে শুধুই হার। পাকিস্তান ৭-০, ভারত ৭-০ ও জাপানের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচ হারলেও শুরুতে জিমিদের লড়াই করার মনোভাব ফুটে উঠেছিল। কিন্তু স্ট্রামিনা ও কৌশলের কাছে মার খেয়ে গেছে। জাপানের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে শেষ দুই মিনিটে দুই গোল খেয়ে। অথচ ১-১ গোলে ড্র থাকার অবস্থায় পেনাল্টি স্ট্রোকও মিস করেছিল জাপান। ৬০ মিনিটের হকি এখন কতটা গতিময় তা বুঝতে পারেননি জিমিরা।

প্রস্তুতি চলাকালেই কোচ মাহবুব হারুনই বলেছিলেন, এশিয়া কাপে আমাদের টার্গেট পাঁচ বা ছয়ে থাকা। কখনো গ্রুপপর্বের কোনো ম্যাচে জেতার কথা বলেননি। আসলে তিনি বাস্তব চিত্রটাই তুলে ধরেছিলেন। বুঝতে পেরেছিলেন শিষ্যদের সামর্থ্য। বাংলাদেশকে এখন গ্রুপপর্বে ব্যর্থ হয়ে পাঁচের জন্যই লড়তে হচ্ছে। আজ মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে রাত আটটায় বাংলাদেশ লড়বে চীনের বিপক্ষে। ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অনেকটা ফাইনালই বলা যায়। কেননা পাঁচে থাকতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে। হারলেই বাংলাদেশের অবস্থান হবে সাত কিংবা আটে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে এই কাল্পনিক চিন্তা নিশ্চয় কেউ করেননি। কিন্তু আট দলের আসরে আটে থাকলে এর চেয়ে বড় লজ্জা আর কি হতে পারে। তবে বিদেশি দলগুলো কিন্তু বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে হতাশ নয়। পাকিস্তানের অধিনায়ক মো. ইরফান বলেছেন, বাংলাদেশে অনেক মানসম্পন্ন খেলোয়াড় রয়েছে। যারা অবশ্য আন্তর্জাতিক মানের। এদেরকে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারলে সামনে বাংলাদেশ হকিতে ভালোভাবেই জ্বলে উঠবে। ভারতের অধিনায়ক মানপ্রিত সিংয়ের কণ্ঠেও একই সুর। যাক যতই প্রশংসা করা হোক না কেন গ্রুপপর্বে বাংলাদেশ হতাশারই পরিচয় দিয়েছে। তবে চীন প্রতিপক্ষ হিসেবে ততটা শক্তিশালী নয়। জিমিরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে অবশ্যই ম্যাচ জেতা সম্ভব।

সর্বশেষ খবর