শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

নেতৃত্বে থাকছেন পাপনই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নেতৃত্বে থাকছেন পাপনই

স্পষ্ট করেই জানিয়েছিলেন বিসিবির সভাপতি পদে থাকতে আগ্রহী নন। নতুন কাউকে স্বাগত জানাতেও প্রস্তুত তিনি। নাজমুল হাসান পাপন সভাপতি হিসেবে গত চার বছর দাপটের সঙ্গেই কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এখন তিনি আগের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বিসিবির আগামী পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বে তিনি যে থাকছেন গতকাল ২৩ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করে সেটারই জানান দিলেন।

বিসিবির নির্বাচন ৩১ অক্টোবর। ২০১৭ সালের নতুন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদের পরিসর কমেছে। ২৬ পরিচালক কমে দাঁড়িয়েছে ২৫-এ। এর মধ্যে ২৩ পরিচালক নির্বাচিত হবেন কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে এবং বাকি দুই পরিচালক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কোটায়। জেলা ও বিভাগগুলোর ক্যাটাগরি—‘১’ থেকে ১০, ক্লাবগুলোর ক্যাটাগরি—‘২’ থেকে ১২ ও ক্রিকেটারদের ক্যাটাগরি—‘৩’ থেকে একজন পরিচালক নির্বাচিত হবেন।  পুরনো গঠনতন্ত্রে এনএসসির কোটায় পরিচালক ছিলেন তিনজন। এবার দুজন। তিন ক্যাটাগরির ২৩ পরিচালকের জন্য গতকাল মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ৩০টি। জেলা ও বিভাগ ক্যাটাগরিতে বিক্রি ১৫টি, ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১৪টি এবং ক্রিকেটার্স ক্যাটাগরিতে মাত্র একটি। ক্রিকেটার্স ক্যাটাগরিতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন একমাত্র খালেদ মাহমুদ সুজন। অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। নির্বাচন সামনে রেখে বিসিবির সাবেক সভাপতি যে প্যানেল ঘোষণা করেছেন, তাতে কোনো চমক নেই। নেই কোনো নতুন মুখ। প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন ২৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার।

নির্বাচনে কে কে থাকছেন, এ নিয়ে বেশ অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছিল ক্রিকেটাঙ্গনে। নতুন কাউন্সিলর তালিকায় বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী নতুন নাম ছিল। ফলে গুঞ্জনটাও ছিল জোরালো। কিন্তু বিসিবির সাবেক সভাপতি তার আগের পরিচালকদের ওপর আস্থা রেখেছেন। তাই কোনো পরিবর্তন আসেনি নতুন প্যানেলে। নাজমুল করিম টিঙ্কু মারা যাওয়ায় এবং আহমেদ ইকবাল হাসানের জায়গায় প্যানেলে এসেছেন ডা. ইসমাইল হায়দার মল্লিক ও মঞ্জুর কাদের। মল্লিক গতবার পরিচালক ছিলেন এনএসসির কোটায় এবং মঞ্জুর কাদের পরিচালক হয়েছিলেন ক্যাটাগরি—১ থেকে। ঢাকার ক্লাবগুলোর ক্যাটাগরিতে পাপনের প্যানেলের বাকি ১০ জন এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাহবুবুল আনাম, আফজালুর রহমান সিনহা, জালাল ইউনুস, লোকমান হোসেন, হানিফ ভুইয়া, নজিব আহমেদ, তানজিল আহমেদ চৌধুরী, শওকত আজিজ রাসেল ও গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। এই ক্যাটাগরিতে আরও দুটি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। কেনা হয়েছে বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির নামে।

জেলা ও বিভাগ ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হবেন ১০ পরিচালক। ঢাকা বিভাগের ১৮ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন দুজন পরিচালক। মনোনয়নপত্র কিনেছেন ছয়জন। বিসিবির সাবেক সভাপতির প্যানেলে ক্যাটাগরি—১-এর একমাত্র প্রার্থী বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক ও সাবেক পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয়। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার কাউন্সিলর। এই ক্যাটাগরিতে আরও মনোনয়ন কিনেছেন নরসিংদীর শাহীনুল ইসলাম ভুঁইয়া, নারায়ণগঞ্জের তানভীর আহমেদ টিটু, মুন্সীগঞ্জের মো. জুনায়েদ হোসেন, কিশোরগঞ্জের সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। চট্টগ্রামে বিভাগের পক্ষে দুটি মনোনয়নপত্র কিনেছেন আ জ ম নাছির ও আকরাম খান। খুলনা বিভাগের শেখ সোহেল ও কাজী এনাম, রাজশাহী বিভাগে শফিউল আলম স্বপন, সিলেটে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং বরিশালের কোটায় কিনেছেন আবদুল আওয়াল চৌধুরী ভুলু। এরা সবাই বিসিবির সাবেক সভাপতির প্যানেলের প্রার্থী। বরিশালের কোটায় আরেকজন কিনেছেন আলমগীর খান।

বিসিবির সাবেক সভাপতির প্যানেলের বাইরে তিন-চারজন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। কিন্তু নির্বাচনে তারা আদৌ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা, তা মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনই পরিষ্কার হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর