বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফুটবলে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ অনিশ্চিত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফুটবলে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ অনিশ্চিত

তরফদার মো. রুহুল আমিন

প্রতিবেশী ভারতে শুধু ক্রিকেটে আইপিএল নয়। ফুটবলে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ মাঠে নামিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে। আই এস এল অর্থাৎ ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ভারতের ঘুমন্ত ফুটবলকে জাগিয়ে তুলেছে। ক্রিকেটের জোয়ারে ভারতে ঘরোয়া ফুটবলে দর্শকেরই দেখা মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত ইন্ডিয়ান সুপার লিগ সেই হতাশা দূর করে দিয়েছে। কিছুদিন আগে ভারতে শেষ হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ। ছোটদের হলেও দারুণ সাড়া পড়ে যায় এই আয়োজনে। কলকাতা সল্টলেক স্টেডিয়ামে ফাইনালে উপচেপড়া দর্শক দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো। এতটা খুশি হয়েছেন যে মন্তব্য করেছেন ভারত ফুটবলে মূল বিশ্বকাপ আয়োজনের যোগ্যতা রাখে।  ফুটবলে জেগে উঠেছে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশে হাহাকার চলছে। ক্রিকেটে আবার রমরমা অবস্থা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্য যেমন আসছে। তেমনি ফ্রাঞ্চাইজি লিগ বিপিএল করে এ খেলার জনপ্রিয়তা তুঙে উঠেছে। ঘরোয়া আসরে প্রিমিয়ার লিগে গ্যালারি প্রায় ফাঁকা থাকলেও বিপিএল ক্রিকেটকে দারুণভাবে জাগিয়ে তুলেছে। সিলেটে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বিপিএল। প্রতিটি ম্যাচেই উপচেপড়া দর্শকের সমাগম ঘটেছে। ফুটবলে পেশাদার লিগে দর্শক খরা নতুন নয়। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচেও গ্যালারি থাকছে প্রায় ফাঁকা। নতুনত্ব আনতে বাফুফে অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আয়োজনের। প্রায় তিন বছর আগেই ফ্রাঞ্চাইজি লিগের চুক্তি হয় সাইফ পাওয়ারটেকের। ১৫ বছরের জন্য স্বত্ব কিনেও নেয় প্রতিষ্ঠানটি। কথা ছিল ২০১৬ সালেই এই লিগ মাঠে গড়াবে। কিন্তু তা আর হলো কই। কবে হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। অথচ সালাউদ্দিনের তৎপরতা দেখে এক সময়ে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ চমক দেখানোর মতো ফুটবলে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ করবেন আরও কত কি কথা? ফুটবলে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আদৌ হবে কি? এনিয়ে গতকাল কথা হয় স্বত্ব কিনে নেওয়া প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরাতো প্রস্তুত। কিন্তু স্টেডিয়াম বা অবকাঠামো সংস্কার না হলে লিগ নামাবো কীভাবে? ঢাকাসহ রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও বরিশালে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ হবে। পরিতাপের বিষয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মাঠ সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বই দিচ্ছে না। বাফুফে কি করছে জানি না। আমরা কিন্তু তাগাদা দিয়েই যাচ্ছি। এখন যে অবস্থা তাতে ২০১৯ সালের আগে বাংলাদেশ সুপার লিগ মাঠে নামাতে পারব না। কেননা সংস্কারে ব্যাপক সময় নেবে।’ তরফদার দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান দেশের ফুটবল উন্নয়নে কাজ করছে। পেশাদারসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে আমাদেরই প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করছে। আমরা চাই ক্রিকেটের মতোই ফুটবলে ফ্রাঞ্চাইজি লিগটা জমজমাট হোক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তো সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’

সর্বশেষ খবর