শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

শেষ আটে শেখ রাসেল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেষ আটে শেখ রাসেল

সেরা আটে জায়গা নেওয়া শেখ রাসেলের খেলোয়াড়দের গোলের পর উৎসব —বাংলাদেশ প্রতিদিন

পেশাদার লিগের শিরোপা জয়ের টার্গেটে দল গড়েছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কিন্তু ঢাকা আবাহনী, শেখ জামাল ধানমন্ডি, চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি।  শিরোপা জেতাও হয়নি। তাই বলে দলটি কিন্তু শক্তিমত্তায় দুর্বল, তা নয়। বরং শফিকুল ইসলাম মানিকের দলটি স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে বেশ গোছানো। সেটা মৌসুমের শেষ টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপেই প্রমাণিত হলো। ‘সি’ গ্রুপ থেকে সেরা আট নিশ্চিত করে নিয়েছে দলটি। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে দলটি ২-১ গোলে হারিয়েছে টিম বিজেএমসিকে। এই হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ৭০ ও ৮০-এর দশকের শক্তিশালী দল বিজেএমসি। এই জয়ে গ্রুপ থেকে শুধু শেখ রাসেলই নয়, কোয়ার্টারে নাম লিখিয়েছে ফেডারেশন কাপ ও পেশাদার লিগের শিরোপাজয়ী ঢাকা আবাহনীও। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ঢাকা আবাহনী ২-০ গোলে হারিয়েছিল বিজেএমসিকে। গ্রুপ শীর্ষ হতে বৃহস্পতিবার পরস্পরের মুখোমুখি হবে শেখ রাসেল ও আবাহনী। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র করেছে মোহামেডান ও রহমতগঞ্জ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে তিন জাতির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ফলে ক্রীড়াপ্রেমীদের সব আলো এখন ক্রিকেটে। ফলে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টটি আড়ালেই পড়ে গেছে। তারপরও স্থানীয় ফুটবলারদের খেলার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া টুর্নামেন্টটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে বেশ। জমজমাট টুর্নামেন্টটিতে দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে জমাটি ম্যাচ খেলছে। ফুটবলাররাও মেলে ধরতে চেষ্টা করছেন সর্বোচ্চভাবে। গতকাল মাঘের বিকালে শেখ রাসেল ও বিজেএমসির ম্যাচটি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঠাসা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচটিতে প্রথম আক্রমণে যায় মানিকের শিষ্যরা। ১৯ মিনিটে ডি বক্সের মাথা থেকে মোনায়েম খান রাজুর ফ্রি কিক ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে বাইরে যায়। ফলে গোল পায়নি শেখ রাসেল। গোল না পেলেও শীতের বিকালে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়েই রেখে দেয় শেখ রাসেল। ৩৯ মিনিটে আবারও সুযোগ পেয়েছিল। ডি বক্সের ভিতর থেকে সৈয়দ রাশেদ তূর্যের ভলি সাইডবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। গোল না পাওয়ার হতাশা নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে শেখ রাসেল। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দুই দলই মরিয়া হয়ে ওঠে গোলের জন্য। ২০১৩ সালের পেশাদার লিগের চ্যাম্পিয়নরা অলআউট হয়ে খেলতে থাকে। দুর্ভাগ্য সঙ্গী হওয়ায় ৬১ মিনিটে খালেকুজ্জামান সবুজের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। তখন মনে হচ্ছিল মুখ অন্ধকার করেই হয়তো মাঠ ছাড়বে দলটি। অবশেষে মানিকের শিষ্যদের মুখে হাসি ফোটে ৮০ মিনিটে। ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের শটে শেখ রাসেলকে এগিয়ে নেন নয়ন (১-০)। ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরে বিজেএমসি (১-১)। প্রথম দফায় রবিনের স্পট কিক জালে প্রবেশ করলেও বিজেএমসির খেলোয়াড়রা বক্সে ঢুকে পড়েন আগে। ফলে গোল বাতিল করে পুনরায় শট নেওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি। দ্বিতীয় দফায় গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে সমতায় আনেন রনি। নির্ধারিত সময়ে খেলায় যখন ১-১ গোল, তখনই ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে সবুজ বিশ্বাস দুর্দান্ত গোল করে কোয়ার্টার, ফাইনাল নিশ্চিত করেন শেখ রাসেলের (২-১)।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর