শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

টাইগারদের নির্বিষ বোলিং

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টাইগারদের নির্বিষ বোলিং

জন্মদিনের উপহারটা আরও ভালো হতে পারত। স্মরণীয় হতে পারত আরও। কিন্তু একটুর জন্য হয়নি। যদিও মনে রাখার মতো উপহার নিজেই নিজেকে দিয়েছেন। ২৩তম জন্মদিনে কুশল মেন্ডিস নিজেকে উপহার দিয়েছেন ২৩ টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। সেটা আবার ক্যারিয়ার সেরা। এমন উপহার কয়জন ক্রিকেটারের ভাগ্যে জোটে? কিন্তু মেন্ডিস তার জন্মদিনটাকে এমনভাবেই রাঙিয়েছেন। খেলেছেন ১৯৬ রানের নান্দনিক ইনিংস। আর মাত্র ৪ রান করতে পারলে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারতেন। সেটা করতে না পারার আক্ষেপ থাকছেই কুশল মেন্ডিসের। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টে তার চেয়ে বেশি হতাশা বাংলাদেশ শিবিরে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটকে নিজের মতো বানিয়ে সারা দিন ব্যাটিং করে সফরকারী শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫০৪। গতকাল সারা দিনে টাইগার বোলাররা প্রতিপক্ষের উইকেট নিয়েছে সাকুল্যে দুটি। তাতেই প্রমাণিত হয়েছে কতটা নখদন্তহীন বোলিং ছিল মাহমুদুল্লাহ গংদের। শিষ্যদের নির্বিষ বোলিংয়ে হতাশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। 

তিন দিন শেষ টেস্টের। অথচ শেষ হয়নি দুই দলের প্রথম ইনিংস। উইকেটের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫১৩ রান। ডাবল সেঞ্চুরির সৌরভ ছড়িয়েও ব্যর্থ হন মুমিনুল হক। নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হন মুশফিকুর রহিম। জবাবটা কিন্তু ভালোভাবেই দিচ্ছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিসের ক্যারিয়ার সেরা ১৯৬ ও ধনঞ্জয় ডি সিলভার ১৭৩ রানে ভর করে দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারীরা। দুই লঙ্কানের দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে অসহায় ছিল বাংলাদেশের বোলাররা। সাফল্য বলতে দুই সেঞ্চুরিয়ানকে সাজঘরে পাঠানো। দুই সফল বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ও তাইজুল ইসলাম। মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম দিন উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু গতকাল উইকেটের দেখা পাননি। অবশ্য দুর্ভাগ্য মিরাজের, উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ব্যর্থতায় উইকেট পাননি তিনি।  

শুরুটা ভালো ছিল টাইগারদের। শূন্য রানে তুলে নেয় প্রথম উইকেট। এরপর কুশল ও ধনঞ্জয় দুজনে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩০৮ রান যোগ করেন।  সেঞ্চুরির পথে রয়েছেন রাশেন সিলভা। বোলারদের এমন করুণ পারফরম্যান্সে হতাশা ঝরেছে খালেদ মাহমুদের কণ্ঠে, ‘ম্যাচের কিছু সময় আমরা ভালো বোলিং করেছি। তবে টেস্টে জুটি বেঁধে বোলিং করা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় না বেশির ভাগ সময় আমরা ভালো বোলিং করেছি। পরিকল্পনা ছিল একদিক থেকে আমরা আক্রমণ করব, আরেকদিক থেকে রক্ষণাত্মক থাকব, সেটা হয়নি। সব মিলিয়ে আমাদের বোলিংটা ভালো হয়নি।’

হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক। দিনের বোলিং পরিসংখ্যানও হতাশ হওয়ার ভিত দিয়েছে। মুস্তাফিজ ২৫ ওভারে রান দিয়েছেন ৮৮। উইকেট নিয়েছেন ধনঞ্জয়ের। অভিষিক্ত বাঁ হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম ৩৭ ওভারে ১২৮ রান দিয়ে রয়েছেন উইকেটশূন্য। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৯ ওভারে দিয়েছেন ৯৭ রান। তাইজুল ১৪৪ রান দিয়েছেন ৫১ ওভারে। হতাশ হওয়ার মতোই বোলিং।

সর্বশেষ খবর