প্রিমিয়ার ক্রিকেটের চলতি মৌসুমে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন নাঈম ইসলাম এবং প্রথম হ্যাটট্রিক বাঁ হাতি স্পিনার আসিফ হাসানের। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি নাঈমের সেঞ্চুরি ও আসিফের হ্যাটট্রিকে। বরং নাঈমের সেঞ্চুরি এবং আসিফের হ্যাটট্রিক সত্ত্বেও হেরে গেছে তাদের দল লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। শিরোপা প্রত্যাশী শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে হেরেছে ৩ রানে। ওয়ালটন প্রিমিয়ার ক্রিকেটের আরেক ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে। মোহামেডানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
বিকেএসপিতে প্রথমে ব্যাট করে শেখ জামাল ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩০ রান করে। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৯০ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ১০৭ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৮টি চার ও একটি ছক্কা। শুরুতে ব্যাট করে শেখ জামাল বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুলেছিল। এরপর আসিফের সাঁড়াশি আক্রমণে ৪ উইকেট ৬৭ রান। ধুঁকতে থাকা শেখ জামালকে টেনে তুলেন সোহান, হাসানুজ্জামান ও আলি ইমরান। হাসানুজ্জামান ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন মাত্র ৩৭ বলে ৭ চার ও ছক্কায়। রাজন করেন ২৮ রান। হ্যাটট্রিকম্যান আসিফ ৩ উইকেট নেন ২৯ রানের খরচে। ২৩১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৫৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে রূপগঞ্জ। সেখান থেকে সেঞ্চুরিয়ান নাঈম ও নাজমুল হাসান ৮৯ রান যোগ করে দলকে ম্যাচে ফেরান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি দলটি। নাঈম ১৬১ রানের ইনিংস খেলেন ১১৬ বলে। নাজমুল ৫১ রান করেন ৬১ বলে। শেখ জামালের পক্ষে আবু জায়েদ রাহী ৪২ রানে নেন ৪ উইকেট। বিকেএসপিতে আরেক ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মোহামেডান পাকিস্তানি সাবেক অধিনায়ক সালমান বাটের ৬২ ও জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার শামসুর রহমানের ৮৪ রানে ভর করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩০ রান করে। ব্রাদার্সকে ৫ উইকেটের জয় উপহার দেন অলক কাপালি ৯১ বলে ৯৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। তার ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা।
ফতুল্লা স্টেডিয়ামে কলাবাগান-প্রাইম ব্যাংক ম্যাচের ব্যবধান ছিল ৭ উইকেট। কলাবাগান প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান করে। প্রয়োজনীয় টার্গেটে পৌঁছে প্রাইম ব্যাংক ৩৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে। দলটির পক্ষে জাকির হোসেন ৭৮ বলে ৫৬ ও মেহেদি মারুফ ৪৯ বলে করেন ৫১ রান।