শিরোনাম
শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ব্যাটে বলে দুরন্ত মাশরাফি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ব্যাটে বলে দুরন্ত মাশরাফি

প্রথম ম্যাচে ঝড় তুলেছিলেন বল হাতে। গতকাল ঝড় তুলেছেন ব্যাট হাতে। অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন না বোলিংয়েও। টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা গতকাল ওয়ালটন প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সব আলো টেনে নেন নিজের দিকে। বিকেএসপিতে কলাবাগানের বিপক্ষে আবাহনীকে ৩৬ রানের জয় তুলে দিতে মাশরাফি নিজেকে উপস্থাপন করেন একজন সলিড অলরাউন্ডার হিসেবে। তার অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে প্রিমিয়ার ক্রিকেটে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী আবাহনী। প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে জয়ের ট্রাকে উঠে এসেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও প্রাইম দোলেশ্বর। গাজী ২০ রানে নবাগত শাইনপুকুরকে আর প্রাইম দোলেশ্বর ১ উইকেটে হারিয়েছে খেলাঘর সমাজকল্যাণকে।

বিকেএসপিতে প্রথমে ব্যাট করে মাশরাফির আবাহনী। চট্টগ্রাম টেস্টে খেলেছেন, কিন্তু জায়গা হয়নি মিরপুর টেস্টে। সুযোগ না পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে প্রিমিয়ার ক্রিকেট খেলতে যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাশরাফি, সৈকত, এনামুল হক বিজয়ের আবাহনী প্রথমে ব্যাট করে কলাবাগানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একপর্যায়ে ১০৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এর মাঝেই একটি মাত্র টেস্ট খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। দলের বিপর্যয়ে মাশরাফি হাল ধরেন মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে। দুজনে সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৯৮ রান। মোসাদ্দেক ৪০ রানে সাজঘরে ফেরেন। মাশরাফি খেলেন ঝড়ো ইনিংস। ৬৭ রানের টর্নেডো ইনিংসটি খেলেন মাত্র ৫৪ বলে ৩ চার ৫ ছক্কায়। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়েই আবাহনীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৯.৫ ওভারে ২১৭ রান। কলাবাগানের সফল বোলার মুক্তার আলি ৩ উইকেট নেন ৪৭ রানের খরচে। ২টি করে উইকেট নেন শাহাদাত হোসেন, আবুল হোসেন ও যতিন সাক্সেনা। ২১৮ রানের টার্গেট। মাশরাফি ও তাসকিন আহমেদের সাঁড়াশি আক্রমণে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে কলাবাগান। একপর্যায়ে ৪৮.১ ওভারে ১৮১ রানে গুটিয়ে যায় কলাবাগানের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন মুক্তার আলি। মোহাম্মদ আশরাফুল ২৫ ও ৩৮ রান করেন মাহমুদুল হাসান। আগের ম্যাচে ৩ উইকেট নেওয়া মাশরাফি গতকাল নেন ৪ উইকেট। তার বোলিং স্পেল ৯.১-২-৪৯-৪। তাসকিনও উইকেট নিয়েছেন ৩টি। আবাহনীর এটা দ্বিতীয় জয় এবং কলাবাগানের দ্বিতীয় হার।

বিকেএসপিতে আরেক হাই স্কোরিং ম্যাচে ২০ রানে শাইনপুকুরের বিপক্ষে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ। প্রথমে ব্যাট করে গাজী গ্রুপ ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৯ রান করে। ৭৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলটিকে টেনে নিয়ে যান জাকির আলি ও নাদিফ চৌধুরী। দুজনে পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ১১৪ রান। জাকির সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন ১১৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায়। নাদিফ আক্রমণাত্মক মেজাজে ৬৮ বলে করেন ৭১ রান। তাতে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। ভারতীয় ক্রিকেটার রজত ভাটিয়া ৩৪ বলে খেলেন ৫৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। শাইনপুকুরের সাইফুদ্দিন নেন ২ উইকেট। ২৮০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শাইনপুকুরের শুরুটা ছিল চমৎকার। দুই ওপেনার সাদমান ও তৌহিত ৮৪ রানের ভিত দেন। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তুলে নিতে পারেননি দ্বিতীয় জয়। যদিও দলটির পক্ষে সাব্বির ৫৫, তওহিদ হৃদয় ৫১ ও ভারতীয় ক্রিকেটার উদয় কাউল ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। গাজীর সফল বোলার নাইম হাসান নেন ৩ উইকেট। গাজীর এটা প্রথম জয় ও শাইনপুকুরের প্রথম হার। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে খেলাঘরের বিপক্ষে শেষ বলে জয় তুলে নেয় প্রাইম দোলেশ্বর। খেলাঘর প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৯ রান করে। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন নাজিমুদ্দিন। ২০০ রানের টার্গেটে পৌঁছাতে প্রাইম দোলেশ্বরের অপেক্ষায় থাকতে হয় শেষ বল পর্যন্ত। উত্তেজনাকর ম্যাচের শেষ ওভারে ২ উইকেটের পতনের পরও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দোলেশ্বর।

সর্বশেষ খবর