মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

আমরা তো আর বাচ্চা খোকা নই

আমরা তো আর বাচ্চা খোকা নই

খালেদ মাহমুদ সুজন

বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় সিরিজ জিততে পারেনি। টেস্ট সিরিজও হেরেছে। অথচ ঘরের মাঠে দুই সিরিজেই ফেবারিট ছিল বাংলাদেশ। তার পরও কেন এমন হার? শুনুন দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের মুখেই... ক্রীড়া প্রতিবেদক

 

খারাপ করার কারণ কী?

খালেদ মাহমুদ : ‘যে রকম আশা করছিলাম, সেটা তো হয়ইনি। হয়তোবা টেস্ট সিরিজটা আমরা জিততে পারতাম। সেটা হয়নি। আমরা যেরকম পরিকল্পনা করেছিলাম, যেটা কাজে লাগাতে   চেয়েছিলাম সেটা ঠিকঠাক হয়নি। সবচেয়ে বড় জিনিস আমরা চাপটা নিতে পারিনি ।’

উইকেট প্রসঙ্গে...

খালেদ মাহমুদ : যদি উইকেটকে দোষ দিতে হয়, আমাদের  যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ৬ উইকেটে ১১০ এর পর যদি ১৪০ রানে শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করতে পারতাম, ৭০-৮০  রান কম হতো। দিলরুয়ান, আকিলা, লাকমাল  বা আমাদের মিরাজের ব্যাটিং দেখেন ওরা তো বোলার। আমাদের ব্যাটসম্যানদের কথা যদি বলি আমরা আমাদের কাজটা করতে পারিনি।  আমরা ভালো  খেলি নাই। আমাদের মধ্যে জুজু, উইকেট নিয়ে ভয়  বা  নেতিবাচক  চিন্তা যেটাই হোক আমাদের মধ্যে কাজ করেছে। উইকেট একটা অজুহাত মাত্র।

নতুন ভূমিকা সম্পর্কে....

খালেদ মাহমুদ : ‘প্রতিদিন সূর্য ওঠে। আমি হতাশ হলেও হতাশ নই! আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। আমি বিশ্বাস করছিলাম এই দলটা নিয়ে শ্রীলঙ্কার  বিপক্ষে সিরিজ জেতা সম্ভব। তিন সংস্করণেই চিন্তা করেছিলাম সিরিজ জিতব। খুব আনলাকি সাকিবকে মিস করেছি ফাইনালে। টেস্টে ছিল না..টি-২০তেও হয়তো নেই। সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সাকিবকে দুই জায়গায় কাজটা সহজ হয়ে যায়। এটা কোনো অজুহাত নয়। বাকিদের সামর্থ্য আছে। আমরা চাপটা নিতে পারেনি।

পুনরায় দায়িত্ব পালন সম্পর্কে...

খালেদ মাহমুদ : পারসোনালি আমি আর আগ্রহী না। আমার আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গেই কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। আমার আসলে নোংরা লাগছে সত্যি কথা বলতে গেলে ওইভাবে। এত বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করছি, বাংলাদেশের উন্নতির জন্যই কাজ করছি। এখানে আমার কোন স্বার্থ নাই। আমি আর আগ্রহী না।

নোংরা বলতে আসলে কোনটা বোঝাচ্ছেন...

খালেদ মাহমুদ : নোংরা বলতে গেলে। মিডিয়াতে যেভাবে লেখা হয়। মিডিয়ার কারণে আমাদের ক্রিকেট আটকায়ে আছে কিনা  সেটাও দেখতে হবে।

মিডিয়ার ওপর রাগ করে সরে যাওয়ার চিন্তা...

খালেদ মাহমুদ : টেকনিক্যাল হয়ত খারাপ হইতে পারি। কিন্তু অন্য বিষয় নিয়ে যখন কথা বলে তখন এটা আমাকে খুবই আহত করে। সত্যি কথা বলতে গেলে যখন আসে যে আমি আবাহনীর  হেড কোচ। আমি মোসাদ্দেককে খেলাই নাই এই কারণে যে আবাহনীতে খেলার জন্য। যখন ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট নিয়ে কথা বলে তখনই এটা খুবই আহত করে।

মিডিয়ার দাবি মেনে নিচ্ছেন...

খালেদ মাহমুদ : না মিডিয়ার দাবি মানছি না। আমরা তো বাচ্চা  খোকা না এখন। সবাই তো বড় হইছি। আমার পিছে যদি লাইগা থাকা হয়, আমি কোনোদিন ভালো করলেও ভালো হব না। এত বছর খালি ভালো করতে তো শুনি নাই। সোশ্যাল মিডিয়া বলেন, মিডিয়া বলেন। আজকে এমনো শুনছি যে রাস্তায় গেলে আমাকে মাইরও খাইতে হতে পারে। তো ক্রিকেট খেলার জন্য মাইর খাইতে হইলে এটা তো অকওয়ার্ড আসলে। কথার কথা বলতেছি।

পরাজয়ের ময়নাতদন্ত...

খালেদ মাহমুদ : কাটাছেঁড়া করলে অনেক কিছুই কাটাছেঁড়া করা হয়। একটা দলের ভালো মন্দ একটা দলের ভিতরকার কথা। টিমে এখানে অনেক কিছু হতে পারে। আমরা হারছি এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। সেটাতে আমরা কোচরা এসে বলবো না। আমাদের বলার দরকার নেই। বাইরে থেকেও বলা দরকার  নেই। আমরা খেলায় হেরেছি মেনে নিতে হবে।

গামিনি প্রসঙ্গে...

খালেদ মাহমুদ : গামিনিকে বোর্ড থেকে যেভাবে বলা হয়েছে ও সেভাবেই উইকেট বানিয়েছে। ওর দোষ কি? ওর চাকরি খাওয়া দরকার হয়ে গেছে। কেন আমরা ওর চাকরির পেছনে লাগলাম। এই উইকেট আমরা চাইছি, গামিনি ইচ্ছে করে বানিয়ে দেয় নাই।

 

সর্বশেষ খবর