রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

সিরিজ ড্র করাই লক্ষ্য : মাহমুদুল্লাহ

রাশেদুর রহমান, সিলেট থেকে

সাকিব নেই। তামিম ইকবালও ইনজুরিতে। সবমিলিয়ে হঠাৎ অধিনায়কত্ব পাওয়া মাহমুদুল্লাহর জন্য চ্যালেঞ্জটা ছিল বেশ কঠিন। দুই ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথমটা হেরে গেছে টাইগাররা। দ্বিতীয়টা জিতে লক্ষ্য এবার অন্তত সিরিজটা রক্ষা করা। দলের প্রস্তুতি, মানসিক অবস্থা, পরিকল্পনা ইত্যাদি নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।

শেষ ম্যাচে আশা কী?

—টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে আমরা আশাবাদী ছিলাম। তবে আশানুরূপ ফল পাইনি। টি-২০ সিরিজে প্রথম ম্যাচটা ব্যাটসম্যানরা ভালো পারফর্ম করলেও বোলাররা পারেনি। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। প্রতিটা ম্যাচই তো আমরা জেতার জন্য খেলেছি। এখনো একটা ম্যাচ আছে। এটা জয়ের জন্যই খেলব আমরা। অনুপ্রাণিত হওয়ার চেষ্টা করছি। এখন যেহেতু সিরিজ জিততে পারছি না, ড্র করার সম্ভবনা আছে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

উইকেট কেমন? রাহী কি খেলবেন?

—কিছুক্ষণ আগে মাঠে এলাম। উইকেটটা এখনো ভালোভাবে দেখা হয়নি। উইকেট দেখে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সবদিক ভেবে সেরা একাদশ নির্বাচন করব। তবে এতটুকু বলতে পারি, সবারই কমবেশি খেলার সম্ভাবনা আছে।

সিলেটে প্রথম ম্যাচ। টসের গুরুত্ব কতটুকু?

—টস কতটা গুরুত্বপূর্ণ এটা নির্ভর করছে উইকেটের উপর। টি-২০তে প্রত্যেকটি বিভাগেই ভালো করতে হবে। আগে ব্যাটিং বা বোলিং হোক। নিজেদের যোগ্যতা প্রদর্শন করতে পারলেই যথেষ্ট।

বিশ্বকাপে র‌্যাঙ্কিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওটা নিয়ে কিছু ভাবছেন? সামনে তো কয়েকটা টুর্নামেন্টও আছে...

—প্রথম কথা হচ্ছে, এই ম্যাচটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। কীভাবে জিততে পারি। র‌্যাঙ্কিং নিয়ে আমরা মোটেও ভাবছি না। আমার মনে হয়, ঘুরে দাঁড়ানোর যে তাগিদ ওটা সবার মাথায় কাজ করছে। নিজেরা অনুপ্রাণিত হওয়া, বাংলাদেশ দলকে কিছু দিতে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, ভালো একটা শো দেখাতে পারব। এখানে ভালো কিছু করেই যেন সামনের টি-২০ টুর্নামেন্টে (নিদাহাস ট্রফি) যেতে পারি।

তামিম কি ফিরছেন?

—তামিমের অবস্থা এখন অনেক ভালো। সে ফিট থেকেই আগামীকাল খেলবে, ইনশাআল্লাহ্।

হাতুরাসিংহে আজ স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে তার জানাশোনাটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আপনার ভাবনা কী?

—সাম্প্রতিক সময়ে উনি (হাতুরা) আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আমাদের খুঁটিনাটি বিষয়ে উনি খুব ভালো জানেন। এই তথ্যগুলো  তো অবশ্যই কাজে লাগার কথা। উনি বেশ উঁচুমানের কোচ। আমরা যদি আমাদের কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারতাম, হয়তো এই বিষয়টা এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হতো না। আমার মনে হয় যে, কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারিনি। পরিকল্পনা মাঠে এক্সিকিউট করতে পারিনি। তাহলে ফলাফলটা আমাদের পক্ষেই থাকতো। আমি এখনো আশাবাদী। শেষ ম্যাচটাতে আমরা কিছু করে দেখাতে পারব।

অভিষেকে ভালো করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়ক হিসেবে তাদের কীভাবে মোটিভেট করছেন?

—প্রথম কথা হচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এসে পারফরম্যান্স করা মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। অবশ্যই তারা (জাকির ও আরিফুল) ভালো। তাদের নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। তারা অনেক সম্ভাবনাময়। হয়তো অনেক বছর ক্রিকেট খেলবে এবং বাংলাদেশকে অনেক কিছুই দিতে পারবে। আর আমার মনে হয় সেলফ মোটিভেটেড হওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ।  দেশের জন্য খেলা। দলের জন্য খেলা। এর চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আর কী হতে পারে!

অধিনায়ক হওয়ার মানসিক প্রস্তুতি ছিল?

—সুযোগ এলে আমি তা নেওয়ার জন্য সব সময়ই প্রস্তুত। আমি মনে করি, এটা দারুণ সুযোগ। অনেক গর্বেরও বিষয়।

সর্বশেষ খবর