শিরোনাম
বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

অলিম্পিকে পদক জিতবে বাংলাদেশ?

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অলিম্পিকে পদক জিতবে বাংলাদেশ?

আরচ্যারি কোচ মাট্রিন ফ্রেডরিক

আরচ্যারি খেলা এক সময়ে অপরিচিত হলেও বাংলাদেশ এখন পরিচিত হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ  চপলের কথা না বললেই নয়। তার অক্লান্ত পরিশ্রমেই আরচ্যারি একটা পর্যায়ে এসেছে। সম্ভাবনা আছে বলেই আরচ্যারিতে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ। যাদের অন্যতম ব্র্যান্ড তীর। তীর ফর গোল্ড ভিশনও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

গত নভেম্বরে বিশ্ব আরচ্যারি ফেডারেশনের মহাসচিব টম ডিলনের কাছে ভালোমানের কোচ চেয়েছিলেন চপল। সেখানে টম তিন জনের বায়োডাটা পাঠাল। সেখান থেকেই জার্মানির মাট্রিন ফ্রেডরিকে বাছাই করে ফেডারেশন। গত সোমবার ফ্রেডরিকের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি হয় আরচ্যারি ফেডারেশনের।

প্রতিমাসে জার্মান এই কোচ পাবেন ৪ হাজার ডলার। যার পৃষ্ঠপোষকতায় থাকছে সিটি গ্রুপই। ফেডরিককে আরচ্যারির হাই প্রোফাইল কোচ বলা যায়। জার্মানি ও চিলির প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এমন কোচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য আসবে আশা করা যেতে পারে। ক্রিকেট, ফুটবল, হকির মতো জনপ্রিয় খেলা বাদ দিয়ে সিটি গ্রুপ আরচ্যারিকে স্পন্সর করছে। এতে তারা ধন্যবাদ পেতেই পারেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ফ্রেডরিক যে আশার কথা শুনিয়েছেন তা চমকিয়ে দেওয়ার মতো। সাফল্য বলতে তিনি অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশকে পদক জেতার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। তিনি এ কথাও বলেছেন, বাংলাদেশের আরচ্যার সম্পর্কে তার কম বেশি ধারণা আছে। এদের ভালো মতো প্রশিক্ষণ দিতে পারলে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক গেমসে পদকের আশা করা যায়। ২০২৪ সালে অলিম্পিকেতো সোনাও জেতা সম্ভব।

যে আরচ্যারি এশিয়ান প্রতিযোগিতায় সফল নয়, সেখানে একেবারে অলিম্পিকে পদক। যাক ফ্রেডরিক অভিজ্ঞ কোচ। ২০১১ সালে চিলিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করান। তিনি তো আর না বুঝে এমন কথা বলবেন না। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চপল ও সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (বিক্রয় বিপণন) শোয়েব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান দুজনই ফ্রেডরিককে পেয়ে আশাবাদী। তা হলে কি আশা করা যায় অলিম্পিকে পদক জেতার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে?

 

সর্বশেষ খবর