রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিশ্বকাপ কর্নার

বিশ্বকাপ কর্নার

ইংল্যান্ডের ভয়

উয়েফা ইউরোপা লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে স্পেনে গিয়েছিল রুশ ক্লাব স্পার্টাক মস্কো। ক্লাবের সঙ্গে ছিল কয়েক শত রুশ সমর্থকও। এই উগ্র সমর্থক গোষ্ঠীই অ্যাথলেটিকের সমর্থকদের সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছিল রাস্তায়। সেই লড়াই থামাতে গিয়ে এক পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনা রাশিয়ায় ঘটবে না বলে ফিফা বিশ্বাস করে। ব্রিটিশ ফুটবল পুলিশের বড় কর্তা ফিফার আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছেন না। তিনি বিশ্বকাপে ইংলিশ ফুটবল সমর্থকদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। মার্ক রবার্টস বলেছেন, ‘স্পেনের ঘটনার পর অবশ্যই ইংলিশ সমর্থকদের চিন্তা করতে হবে, তারা রাশিয়া যাবে কি না!’ রুশ ফুটবলের উগ্র সমর্থক গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পুতিন সরকার অবশ্য এরই মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ফোর্স গঠন করেছে। পুতিন কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন, বিশ্বকাপের সময় কোনরকম গুণ্ডামি সহ্য করা হবে না। বিশ্বকাপের মাঠে যেন উগ্র ফুটবল সমর্থকরা প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য এরই মধ্যে তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

ফিফার আস্থা

ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা পূর্ণ আস্থা রেখেছে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের উপর। ফিফার গভর্নিং বডি গত শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাদের পূর্ণ আস্থা আছে রাশিয়ার ওপর। যদিও কয়েকদিন আগে রাশিয়ার উগ্র ফুটবল সমর্থকরা স্পেনের বাস্ক অঞ্চলের ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের সমর্থকদের সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিল। দুই দলের সমর্থকদের লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ অফিসারেরও। এই নিয়ে ফুটবল দুনিয়ায় কম সমালোচনা হয়নি। রাশিয়া কী নিজেদের এই উগ্র সমর্থকগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বিশ্বকাপে! ফিফার এক মুখপত্র বলেছেন, ‘২০১৮ বিশ্বকাপের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা দাবি করতে পারি, রাশিয়া পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে সক্ষম।’ আগামী জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। রাশিয়ানরাও বরাবরই নিরাপত্তার ব্যাপারে বিশ্বকাপে শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছে। কিন্তু উগ্র ফুটবল সমর্থকদের কবল থেকে টুর্নামেন্টকে মুক্ত রাখা কঠিনই হবে। দেখা যাক, ফিফার আস্থা কতটা কাজে আসে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর