শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

জ্বলে উঠতে চায় আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জ্বলে উঠতে চায় আবাহনী

ঘরোয়া ফুটবলে সবচেয়ে সফল দল ঢাকা আবাহনী। পেশাদারসহ সর্বোচ্চ লিগ জেতার কৃতিত্ব রয়েছে তাদের। তবে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তাদের তেমন সাফল্য নেই। আগে এশিয়ান ক্লাব বা এখন এএফসি কাপে বরাবরই ব্যর্থ দেশের জনপ্রিয় ক্লাবটি। অথচ এক সময়ে পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনবার চূড়ান্ত পর্বে খেলার কৃতিত্ব রয়েছে। ১৯৮৮ সালে ঢাকায় বাছাই পর্বে ইরানের শক্তিশালী দল পিরুজিকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করে। সেবারই মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বে কাতার চ্যাম্পিয়ন আলসাদ ও উত্তর কোরিয়া এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের সঙ্গে ড্র করে। এশিয়ান ক্লাব ফুটবলে মোহামেডানের অবস্থান ছিল সাতে।

ঢাকা আবাহনীর অতীত রেকর্ড ভালো না হলেও এবার চাচ্ছে সাফল্য। তাই সাইফুল বারী টিটুকে প্রশিক্ষক করে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছে। এবার মাঝারি মানের দল গড়ে ফেডারেশন কাপ ও পেশাদার লিগে ট্রফি জিতেছে। তবে ট্রেবল জেতা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতা কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ আরামবাগের কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে। ৩-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়।

স্বাধীনতা কাপে কোনো বিদেশি ফুটবলার খেলতে পারেনি। তাই লোকালদের নিয়ে গড়া বড়-ছোট দলের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিদেশি ছাড়া আবাহনী বুঝতে পেরেছে তাদের শক্তির সামর্থ্য কতটুকু। এএফসি কাপে বিদেশি নিয়ে মাঠে নামবে। তিন বিদেশি এমেকা ডার্লিংটন, ল্যান্ডি ডারবো ও সানডে আসার পর আবাহনী শক্তি যে বেড়েছে তার প্রমাণ মিলিছে জাতীয় দলের পক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে। ৪-০ গোলে তারা হারিয়ে দিয়েছে অ্যান্ডু ওডের প্রশিক্ষণরত জাতীয় দলকে। সুতরাং ঘরের মাঠে এএফসি কাপে উজ্জবিত হয়ে মাঠে নামবে পেশাদার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

শক্তিশালী হলেও আবাহনীর প্রতিপক্ষরা তো আর দুর্বল নয়। ‘ই’ গ্রুপে ভারতের আইলিগ চ্যাম্পিয়ন আইজল, রানার্সআপ ব্যাঙ্গালুরু এএফসি ও মালদ্বীপ চ্যাম্পিয়ন নিউ রেডিয়ান্ট। সুতরাং পরবর্তী রাউন্ডে ওঠা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আবাহনীর প্রতিপক্ষ নিউ রেডিয়ান্ট। তবে ম্যাচ হবে কিনা তা নির্ভর করছে এএফসির সবুজ সংকেতের ওপর। কেননা, সাইফ স্পোর্টিং ও টিসি স্পোর্টসের ম্যাচ দেখার পর ম্যাচ কমিশনার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠকে আন্তর্জাতিক ফুটবলের উপযোগী নয় বলে রিপোর্ট দিয়েছে। এএফসিও বাফুফেকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ৭ মার্চের আগে তারা মাঠ উপযুক্ত দেখতে চায়। বাফুফে তাই পুরোদমে মাঠ সংস্কারের কাজ শুরুও করে দিয়েছে। আবাহনী অবশ্য এ নিয়ে বিচলিত নয়। তারা ধরেই নিয়েছে, ৭ মার্চ ঘরের মাঠে খেলতে হবে। আবাহনী চাচ্ছে ঘরের মাঠে নিউ রেডিয়ান্ডকে হারিয়ে শুভ সূচনা করতে। জাতীয় দল মালদ্বীপের কাছে পাত্তা না পেলেও নিউ রেডিয়ান্ডকে হারানোটা কষ্ট কর হবে বলে মনে হয় না। প্রথম জয় পেলে আবাহনী আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে যাবে। যা পরবর্তী ম্যাচগুলোতে কাজে আসবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর